অধীর চৌধুরী।
স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষকে স্মরণীয় রাখতে কেন্দ্রীয় সরকার একগুচ্ছ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। তারই অন্যতম ‘তিরঙ্গা বাইক র্যালি’তে বুধবার দেশের সব সাংসদকে নিয়ে মোটরবাইক শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিল দেশের সংস্কৃতিমন্ত্রক। দিল্লির লালকেল্লা থেকে সংসদ ভবনের সংলগ্ন বিজয়চক পর্যন্ত এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। তবে কোনও বিরোধী সাংসদ এই কর্মসূতিতে অংশগ্রহণ করেননি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী দেশের শাসকদল বিজেপির দেশপ্রেম নিয়েই প্রশ্ন তুললেন। বহরমপুরের এই সাংসদের কথায়, “কারা আসলে দেশপ্রেমিক আমরা তা জানি।’’ তাঁর সংযোজন, “তারা (বিজেপি) তাদের কর্মসূচি পালন করেছে। কিন্তু আমরা কেন বিজেপির রাজনৈতিক কর্মসূচিতে শামিল হব?”
নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অধীর জানিয়েছেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গী ভাবে যুক্ত খাদিকে দেশের বিজেপি সরকার শেষ করে দিয়ে চিনের সংস্থাকে পতাকা তৈরি করার বরাত দিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি দেশের সরকারকে তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি পূরণের মাধ্যম করে তুলছে। এই প্রসঙ্গে অধীর ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি তদন্ত নিয়েও সরব হয়েছেন। ন্যাশনাল হেরাল্ডের নাম না করলেও তিনি জানান, স্বাধীনতা সংগ্রামে যে সংবাদপত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিল, এখন তাকেই নিশানা করা হচ্ছে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে কংগ্রেস মুখপাত্র পবন খেড়া জানিয়েছেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদ্যাপন বিজেপির কাছে নিছক একটা কর্মসূচি হলেও, কংগ্রেসের কাছে এটি আবেগ ও ঐতিহ্যের বিষয়। সঙ্গে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবতকে অনুরোধ করুন, যাতে তিনিও তাঁর সোশাল মিডিয়ায় ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকার ছবি রাখেন।” উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর দেশের ত্রিবর্ণরঞ্জিত পতাকাকে দীর্ঘদিন স্বীকৃতি দেয়নি সঙ্ঘ। রাহুল গাঁধী ও প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বুধবার জহরলাল নেহরুর একটি ছবি পোস্ট করেন, যে ছবিতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রীকে দেশের পতাকা হাতে দেখা যাচ্ছে। ছবিটি শেয়ার করে রাহুল লেখেন, ‘তিনরঙা পতাকা আমাদের দেশের গর্ব, এই পতাকা সকল ভারতবাসীর হৃদয়ে আছে।’