করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি নিয়ে ফের বিতর্ক ছবি— পিটিআই
করোনা টিকার শংসাপত্রে কেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি থাকবে— এই নিয়ে আবার বিতর্ক শুরু হল জাতীয় রাজনীতিতে। শংসাপত্র থেকে মোদীর ছবি সরানোর প্রশ্নে শুক্রবার কেন্দ্রকে নোটিস পাঠিয়ে অবস্থান জানতে চেয়েছে কেরল হাই কোর্ট।
এর আগে বাংলায় গত বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে কোভিড টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। প্রচারের মাধ্যম হিসেবে টিকা-শংসাপত্রকে ব্যবহার করার অভিযোগ তোলা হয়েছিল কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রীর ছবির পরিবর্তে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া নিয়েও বিতর্ক দানা বেঁধেছিল ছত্তীসগঢ় ও ঝাড়়খণ্ডে। সেই বিতর্কই আবাব ফিরে এল জাতীয় রাজনীতিতে।
কেরল হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন কোট্টায়ামের বাসিন্দা এম পিটার নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বক্তব্য, এখন কেন্দ্র থেকে টিকার যে শংসাপত্র দেওয়া হচ্ছে, তা আসলে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার হরণ করছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই কেন্দ্র ও কেরলের রাজ্য সরকারের এ বিষয়ে অবস্থান জানতে চেয়েছেন বিচারপতি পিবি সুরেশ কুমার।
শুধু তাই নয়, আবেদনপত্রে আমেরিকা, ইজরায়েল, জার্মানি-সহ বিভিন্ন দেশের কোভিড শংসাপত্রের ছবি দিয়েছেন পিটার। তিনি জানান, ওই সব দেশে টিকার শংসাপত্রে কোনও রাষ্ট্রনেতার ছবি নেই। বরং, যাঁরা টিকা নিতে আসছেন, তাঁদের কাজে লাগতে পারে এমন কিছু জরুরি তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে টিকা-শংসাপত্রে।
পিটারের আইনজীবী অজিত জয়ের বক্তব্য, ‘‘টিকার শংসাপত্রে কেউ প্রধানমন্ত্রীর ছবি কেউ না-ই চাইতে পারেন। যে কোনও ব্যক্তির সেই অধিকার রয়েছে। গোটা বিষয়টিকে এমন ভাবে তুলে ধরা হচ্ছে যেন প্রধানমন্ত্রীই সব করছেন। মনে রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী এখানে শুধুই তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন। আর কিছু না।’’
গত মার্চ মাসে বাংলায় নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরেও করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। নিয়ম মাফিক ভোটের দিন ক্ষণ ঘোষণার দিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে যায়। তার পরেও বিজেপি-র প্রচারক মোদীর ছবি-সহ করোনার শংসাপত্র বিলি করা হচ্ছে কেন, মূলত তা নিয়েই আপত্তি তুলেছিল জোড়াফুল শিবির।