বৃহস্পতিবার বাল্যবিবাহ আইন অমান্যের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। ছবি: পিটিআই।
বেছে বেছে শুধু বাড়ির পুরুষদেরই কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে অসমের রাস্তায় নামলেন মহিলারা। বাল্যবিবাহ আইন অমান্য করার অভিযোগে দেশ জুড়ে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার জনের বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সরকারের এই ভূমিকায় অসন্তোষ এবং ক্ষোভ ছড়িয়েছে বাড়ির মহিলাদের মধ্যে। রাস্তায় নেমে এই গ্রেফতারির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শয়ে শয়ে মহিলা।
মাজুলি জেলার বাসিন্দা বছর পঞ্চান্নর নিরোদা দোলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, “কেন বাড়ির পুরুষদের গ্রেফতার করা হল? কারও স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারও আবার ছেলেকে। তাঁদের মধ্যে বেশির ভাগই বাড়ির একমাত্র উপার্জনকারী সদস্য। এখন আমরা কী ভাবে বাঁচব। কী ভাবে সংসার খরচ চালাব?”
বরপেটা জেলার এক মহিলা আবার বলেছেন, ‘‘এক নাবালিকাকে নিয়ে পালিয়েছে আমার ছেলে। ও ভুল করেছে, তার জন্য আমার স্বামীকে শাস্তি পেতে হবে কেন? কেনই বা তাঁকে গ্রেফতার করা হল?” কারও স্বামী, কারও ঘরের ছেলেকে বাল্যবিবাহ আইন অমান্য করার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফলে বহু ঘর এখন পুরুষশূন্য। আর তাই আতঙ্কে ভুগছেন সেই সব বাড়ির মহিলারা। এমনটাই দাবি বরপেটা জেলার এক বাসিন্দার।
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যাঁরা বাল্যবিবাহ আইন অমান্য করেছেন, তাঁদের রেয়াত করা হবে না। তাঁর ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেশজুড়ে ধরপাকড় শুরু হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ৪ হাজারেরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ২ হাজার জনের বেশি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছে ৮ হাজার অভিযুক্তের তালিকা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এই অভিযান আগামী ৬ দিন চলবে বলেও জানিয়েছে তারা। সবচেয়ে বেশি গ্রেফতার হয়েছে বিশ্বনাথ জেলা থেকে। সেখানে ১৩৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধুবুরি থেকে গ্রেফতার ১২৬ জন, বাকসায় ১২০, বরপেটায় ১১৪ এবং কোকরাঝাড়ে ৯৬।