গ্রাফিক।
চার জন কৃষক-সহ মৃত্যু হয়েছে আট জনের। অথচ লখিমপুর খেরির হিংসার ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মাত্র ২৩ জনকে খুঁজে পেয়েছে যোগীরাজ্যের পুলিশ! মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট উত্তরপ্রদেশ পুলিশের এই ভূমিকায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে আরও বেশি প্রত্যক্ষদর্শীকে খুঁজে বার করে বয়ান নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে শুনানি-পর্বে উত্তরপ্রদেশ সরকারের কৌঁসুলি হরিশ সালভে বলেন, ‘‘মামলায় ৬৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩০ জনের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ২৩ জন প্রত্যক্ষদর্শী।’’ এর পরেই প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণা এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চের প্রশ্ন— প্রত্যক্ষদর্শীর সংখ্যা এত কম কেন? প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কৃষকদের বিশাল সমাবেশ থেকে মাত্র ২৩ জন প্রত্যক্ষদর্শীকে পাওয়া গেল?’’ বিচারপতি সূর্য জানান, ওই সমাবেশে অন্তত চার-পাঁচ হাজার মানুষ ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ৩ অক্টোবরের লখিমপুর হিংসা মামলায় এক আগেও যোগী আদিত্যনাথ সরকারকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট। ওই ঘটনায় কৃষকদের শান্তিপূর্ণ জমায়েতে গাড়ি নিয়ে ঢুকে পড়ার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিসের বিরুদ্ধে। গাড়ির তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হয় চার কৃষকের। পরবর্তী হিংসায় আরও চার জনের প্রাণ যায়।
আদালতের হস্তক্ষেপের পর গত ৯ অক্টোবর গ্রেফতার হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় মিশ্রের ছেলে আশিস। ওই ঘটনার একাধিক ভিডিয়োতে বহু কৃষকের জমায়েত দেখা গিয়েছে।
লখিমপুর-কাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট পেশে ঢিলেমির জন্য গত ২০ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে তুলোধনা করেছিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। এর পর মাত্র চার জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত।