ছবি: পিটিআই।
নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ব্যাট বাহিনী মহম্মদ আসলম নামে এক ভারতীয় মালবাহকের মাথা কেটে নিয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। এর আগে ভারতীয় জওয়ানদের মাথা কাটার ঘটনা ঘটলেও কোনও সাধারণ ভারতীয়ের দেহের অবমাননা করেনি পাক সেনা। পাকিস্তান এমন ‘ঘৃণ্য’ কাজ করার পরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ চুপ কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস।
শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখায় মোতায়েন ভারতীয় সেনাদের জন্য সামগ্রী নিয়ে যাচ্ছিলেন মালবাহকদের একটি দল। সেনা জানিয়েছে, সেই সময়ে সংঘর্ষবিরতি ভেঙে তাঁদের উপরে হামলা চালায় পাক সেনা। তাতে নিহত হন মহম্মদ আসলাম (২৮) এবং আলতাফ হুসেন (২৩)। তাঁদের বাড়ি গোলপুর সেক্টরের কাসালিয়ান গ্রামে। পাক হামলায় জখম হয়েছেন মহম্মদ সালিম, মহম্মদ সওকা এবং নওয়াজ আহমেদ নামে আরও তিন মালবাহক। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, গত কাল আসলামের ছিন্নভিন্ন দেহ উদ্ধারের পরে দেখা যায় তাঁর মাথাটি গায়েব। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ভারতীয় সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। গত কালই দিল্লিতে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, ‘‘কোনও পেশাদার সেনা এমন বর্বর কাণ্ড ঘটাতে পারে না। সামরিক কায়দাতেই এর জবাব দেওয়া হবে।’’
ইউপিএ জমানায় ভারতীয় জওয়ানদের মাথা কেটে নেওয়ার ঘটনা নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিল বিজেপি। পাকিস্তান এক জনের মাথা কাটলে ১০ জনের মাথা কাটার কথাও বলেছিল তারা। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালার প্রশ্ন, ‘‘সরকার কি এক মালবাহকের শহিদ হওয়ার কথা জানে?’’ তাঁর টুইট, ‘‘পাকিস্তানের এই কাপুরুষোচিত কাজের জবাব কবে দেবে ভারত? এক জনের বদলে ১০ জনের মাথা কবে কাটা হবে?’’ জম্মু-কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেসের মুখপাত্র রবীন্দ্র শর্মা বলেন, ‘‘ইউপিএ জমানায় যখন এমন কাণ্ড ঘটেছিল, তখন প্রশ্ন তুলেছিলেন মোদী। ইউপিএ সরকারকে দুর্বল বলেও আক্রমণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর সরকার আসার পর থেকেই কাশ্মীরে এমন নানা ঘটনা ঘটেই চলেছে। ফলে উপত্যকার মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। কেন এ সব আটকানো যাচ্ছে না, মোদী সরকারকে তার জবাব দিতে হবে।’’
আরও পড়ুন: জেএনইউ: স্টিং অপারেশনের জের, এবিভিপি-র দুই সদস্যকে ডেকে পাঠাল পুলিশ