Shiv Sena

Maharashtra: উদ্ধব-শিবির ছেড়ে একের পর এক বিধায়ক নাম লেখাচ্ছেন শিন্ডে-শিবিরে, কিন্তু কেন?

একের পর এক শিবসেনা বিধায়ক উদ্ধবের পাশ থেকে সরে গিয়েছেন। বহু অভিযোগ এনে যোগ দিয়েছেন শিন্ডে শিবিরে। সত্যিই কি দোষ ছিল উদ্ধবের!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২২ ১৭:৫৩
Share:

একনাথ শিন্ডে ঘর গোছানো শুরু করেছিলেন বহু দিন আগে থেকে। — ফাইল ছবি।

একের পর এক শিবসেনা বিধায়ক উদ্ধব-শিবির ছেড়ে যোগ দিয়েছেন শিন্ডে-শিবিরে। শিবসেনা সু্প্রিমো তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে আঁচ করেছিলেন আগেই। তবে এত জন বিধায়ক যে তাঁর বিরুদ্ধে চলে যাবে, তা আঁচ করতে পারেননি।

Advertisement

উদ্ধব ধারণা করতে পারেননি, যে গুলাবরাও পাটিল, সন্দীপন ভুমরে, দাদাজি ভুসে, উদয় সামন্তের মতো সেনা-অনুগতরা ছেড়ে যাবেন তাঁকে। ঠাকরে পরিবারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এই নেতাদের। তবু আটকানো গেল না। কারণ একনাথ শিন্ডে ঘর গোছানো শুরু করেছিলেন বহু দিন আগে থেকে।

একনাথের সঙ্গে উদ্ধবের সম্পর্ক সব সময় সরলরেখায় চলেনি। মহারাষ্ট্রের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বার বার নিজের রাজনৈতিক গুরু অনন্ত দীঘের গুণগান করে গিয়েছেন। আর এড়িয়ে চলেছেন উদ্ধবকে। তাই বালাসাহেব-পুত্র কোনও দিনই একনাথের ওপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারেননি।

Advertisement

নারায়ণ রানে, রাজ ঠাকরে যখন শিবসেনা ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, তখনও কিন্তু উদ্ধব তথা ঠাকরে পরিবারের পাশে ছিলেন একনাথ। ২০০৫ সালে মুম্বইয়ের রাস্তায় শিবসৈনিকদের মারধর করে রানের সমর্থকরা। সৈনিকদের পাশে থাকতে ঠাণে থেকে নিজের সমর্থকদের পাঠিয়ে দিয়েছিলেন একনাথ। তখন তিনি ঠাণের বিধায়ক।

অগত্যা একনাথের ওপর ভরসা করতে শুরু করেন উদ্ধব। ২০১৪ সালে তখন মোদী-ঝড়ে কাবু দেশ। মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে সেই সুযোগটাই নেয় বিজেপি। সেনার শর্তে রাজি হয় না। শেষ পর্যন্ত একা লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন উদ্ধব। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬৩টি আসন পায় শিবসেনা। বিজেপি পায় ১২২টি আসন। জোট বেঁধে সরকার গড়ে বিজেপি-সেনা। যদিও ক্ষমতার রাশ ছিল বিজেপির হাতেই। সেই অবস্থাতেও মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভায় এক ডজনেরও বেশি আসন পায় শিবসেনা। মনে করা হয় এর পিছনে বড় অবদান ছিল একনাথের।

২০১৯ সালে একনাথই কংগ্রেস আর এনসিপি বিধায়কদের এক ছাদের নীচে এনেছিলেন। মহাবিকাশ আঘাডী জোট গড়ায় অনুঘটকের কাজ করেছেন তিনিই। যদিও এর পর উদ্ধব এবং আদিত্য ঠাকরের উত্থানে ক্রমেই কোণঠাসা হতে থাকেন একনাথ। তাঁর নগরোন্নয়ন দফতরের কাজেও ক্রমেই নাক গলাতে থাকে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।

এনসিপির চাপে একনাথের মতো সরকারে কোণঠাসা হতে থাকেন অন্য শিবসেনা বিধায়করাও। কোভিড ও শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজের দলের বিধায়কদের সঙ্গে ক্রমেই দূরত্ব বাড়াতে থাকেন উদ্ধব। সেই সুযোগই নেন একনাথ। তাঁর সঙ্গে ক্রমেই ঘনিষ্ঠতা বাড়ে অন্য সেনা বিধায়কদের। তার পর এক দিন সেই অনুগত বিধায়কদের নিয়েই সীমান্ত পেরিয়ে গুজরাতে। তার পর গুয়াহাটিতে একনাথ। বাকি ইতিহাস সকলের জানা। উদ্ধব ঠাকরে সরকারের পতন এবং মুখ্যমন্ত্রী পদে একনাথ শিণ্ডের আগমন।

একনাথের এই উত্থানে কতটা ক্ষতি হবে দলের? ক্ষমতার রাশ কি সরে যাবে ঠাকরে পরিবারের হাত থেকে? দুই মহারথীর লড়াইয়ে এখন প্রশ্নে যুদ্ধের ভবিষ্যৎ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement