—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
জিম প্রশিক্ষক পুত্রকে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে কুপিয়ে খুন করেন তিনি। সন্তানের বুকে, মুখে অন্তত ১৫ বার কোপ মারেন। তার পর ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। দিল্লি সেই ব্যক্তিকে জয়পুর থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশের জেরার মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। কেন এমন নৃশংস ভাবে নিজের পুত্রকে খুন করলেন, তা-ও জানিয়েছেন।
২৯ বছরের গৌরব সিঙ্ঘলের বাবা রঙ্গ লালকে শুক্রবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি জানিয়েছেন, স্ত্রী এবং পুত্রের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলাও চলছিল। সেই স্ত্রীকে শিক্ষা দিতেই এই খুন করেন তিনি। গত চার মাস ধরে খুনের পরিকল্পনা করছিলেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন গৌরবের বাবা।
বৃহস্পতিবার ছিল গৌরবের বিয়ের দিন। তার আগের রাতে বাড়ির সামনে থেকেই গৌরবের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ময়নাতদন্তের পর জানতে পারে, যুবককে অন্তত ১৫ বার ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়েছে। কারা কেন এই কাজ করল, পরিবারের তরফে কিছুই স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তদন্তে পুলিশের ভরসা ছিল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ। যুবকের বাবা ঘটনার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন। তাই প্রাথমিক ভাবে তাঁর দিকে সন্দেহের তির গিয়েছিল।
সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে পুলিশ অভিযুক্তকে জয়পুর থেকে ধরে আনে। জেরায় তিনি জানান, এই খুনের জন্য লোকও ভাড়া করা হয়েছিল। খরচ হয়েছিল ৭৫ হাজার টাকা। ঘটনার দিন রাতে পুত্রের কাছে যান অভিযুক্ত। তাঁর সঙ্গে গৌরবের বচসা হয়। রাগের মাথায় বাবাকে থাপ্পড়ও মেরেছিলেন যুবক। পুলিশকে তেমনটাই জানিয়েছেন অভিযুক্ত। এর পরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে পুত্রকে কুপিয়ে খুন করেন বাবা।
পুলিশকে জেরার মুখে অভিযুক্ত এ-ও জানিয়েছেন, এই খুনের জন্য তাঁর কোনও অনুশোচনা নেই। বরং তিনি মনে করেন, তিনি যা করেছেন, তা ঠিক। গৌরবের জীবনযাপন তাঁর পছন্দ ছিল না বলেও জানান তিনি।