শিবাজি মহারাজের মূর্তি। — ফাইল চিত্র।
মাত্র আট মাস। তার মধ্যেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে শিবাজি মহারাজের ৩৫ ফুটের মূর্তি। মহারাষ্ট্রে সিন্ধুদুর্গ জেলার দুর্গের সেই মূর্তি কেন ভাঙল, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। পূর্ত দফতরের তরফে ইতিমধ্যেই ঘটনার এফআইআর দায়ের হয়েছে থানায়। সেই অভিযোগপত্রে দাবি করা হয়েছে, নিম্নমানের দ্রব্য দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল মূর্তিটি। পাশাপাশি ওই মূর্তিতে যে নাট বল্টু ব্যবহার করা হয়েছিল, তাতে মরচে পড়ে গিয়েছিল। যার ফলে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পূর্ত দফতরের তরফে ওই মূর্তি নির্মাণের বরাত দেওয়া ঠিকাদার জয়দীপ আপ্টে এবং চেতন পাটিলের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে। জালিয়াতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। পূর্ত দফতরের দাবি, মূর্তিতে ব্যবহৃত নাট বল্টুতে মরচে পড়েছে। এই নিয়ে সতর্কতা জারি করা হলেও তা উপেক্ষা করা হয়েছে। মূর্তির স্থায়িত্ব প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। পূর্তমন্ত্রী রবীন্দ্র চ্যবন বলেন, ‘‘মূর্তি তৈরিতে ব্যবহৃত ইস্পাতে মরচে ধরতে শুরু করেছে। এই নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিল পূর্ত দফতর।’’
পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার দুপুর ১টা নাগাদ মালভানের রাজকোট দুর্গে ভেঙে পড়ে শিবাজি মহারাজের সেই মূর্তি। গত ৪ ডিসেম্বর নৌসেনা দিবসে এই মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এক বছর পার হওয়ার আগে কী ভাবে ভেঙে পড়েছে মূর্তি, সেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
শিবাজীর মূর্তি ভেঙে পড়ার জন্য প্রবল হাওয়াকে দায়ী করেছেন মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। তাঁর দাবি, দুর্ঘটনার সময় প্রতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইছিল। যদিও সরকারের গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা।