সিবিআই-এর কাছে রাজীবের বিরুদ্ধে প্রমাণ চাইল সুপ্রিম কোর্ট

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা বলেছেন, ২০১৮-র জুনে তথ্য বিকৃত করা হয়েছিল। তা হয়ে থাকলে, যথেষ্ট গুরুতর বিষয়। ২০১৮-র জুন থেকে এত দিন কী করছিলেন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৫
Share:

রাজীব কুমার। —ফাইল চিত্র

গত বছরের জুনে রাজীব কুমার ‘কল ডিটেলস রেকর্ডস’ বিকৃতি করে থাকলে, এত দিন কী করছিলেন— সুপ্রিম কোর্টে রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে এসে এমন প্রশ্নের মুখে পড়ল সিবিআই।

Advertisement

রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে সিবিআই বলেছিল, তিনি সারদা-রোজ ভ্যালির তদন্তে সাক্ষ্যপ্রমাণ বিকৃত করেছেন। সিট-এর কাছে সারদা-র সুদীপ্ত সেন ও দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের মোবাইলের ‘কল ডিটেলস রেকর্ডস’ চাওয়া হয়। ২০১৮-র জুনে সেই তথ্য হাতে আসার পরে দেখা যায়, তা বিকৃত করা হয়েছে। সুদীপ্ত-দেবযানী কাদের সঙ্গে কথা বলতেন, সেই তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছে। আজ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ এবং বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার ডিভিশন বেঞ্চ সিবিআইয়ের দুই আইনজীবী, অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল ও সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতার কাছে জানতে চান, এহেন ‘গুরুতর অভিযোগ’ জানাতে সিবিআই এত দেরি করল কেন?

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা বলেছেন, ২০১৮-র জুনে তথ্য বিকৃত করা হয়েছিল। তা হয়ে থাকলে, যথেষ্ট গুরুতর বিষয়। ২০১৮-র জুন থেকে এত দিন কী করছিলেন? কে আপনাদের আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধা দিয়েছিল? আপনারা কি মনে করেন না এটা আদালতকে জানানো উচিত ছিল? ২০১৮-র জুনে যা হয়েছে, তা আদালতকে জানানোর দায় আপনাদের ছিল না?’’ সলিসিটর জেনারেল বলেন, রাজীবকে নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ‘কল ডিটেলস রেকর্ডস’ খতিয়ে দেখতেও আড়াই মাস সময় লেগেছিল। তখন প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, কেন এই বিকৃত করার কথা প্রথম হলফনামাতেই ছিল না!

Advertisement

আরও পড়ুন: নবান্নেই পনজি স্কিম! মুখ্যমন্ত্রীর কানে যেতে বন্ধ

এ দিনের শুনানিতে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা পুলিশ কমিশনারের বাসভবনে সিবিআই অফিসারদের হেনস্থা এবং তার পরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পুলিশ অফিসারদের ধর্নায় বসার প্রসঙ্গও তোলেন। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘রাজীব কুমার কী ভাবে আদালত অবমাননা করলেন? তা কি শুধুই ৩ ফেব্রুয়ারির ঘটনায় সীমাবদ্ধ?’’

আরও পড়ুন: অ্যাসিড-বোমা নিয়ে হামলার ছক বঙ্গে, ধৃত ২

শুধু মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট পদক্ষেপ করবে না জানিয়ে আদালতের নির্দেশ, সিবিআইয়ের ডিরেক্টর ঋষি কুমার শুক্লকে আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিয়ে রাজীবের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ দিতে হবে। । সিবিআই হলফনামা দেওয়ার পরে রাজ্য তার জবাব দেওয়ার সময় পাবে। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৬ মার্চ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement