Mamata-Nitish Meeting

‘এখন প্রশ্ন কেন?’ বিরোধী জোট নিয়ে যথাসময়ে কথা বলবেন, মমতা-সাক্ষাতের আগে জানালেন নীতীশ

রবিবার সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর মিলেছিল, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। রাতের দিকে নবান্ন সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার নয়, নীতীশ এবং মমতার বৈঠক সোমবারই হবে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৩ ১১:১২
Share:

সোমবারেই বৈঠকে বসছেন নীতীশ কুমার এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করতে সোমবারই কলকাতায় আসছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। বৈঠকের আলোচ্য সূচি সম্পর্কে কোনও পক্ষ থেকেই এখনও উচ্চবাচ্য করা না হলেও মনে করা হচ্ছে বিরোধী জোটে শান দিতেই মমতার দুয়ারে আসছেন প্রবীণ জেডি(ইউ) নেতা। তার আগে নীতীশকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, যথাসময়েই এই বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। তাঁর কথায়, এই ধরনের প্রশ্ন এখন উঠছে কেন? সব কিছু মিটে গেলে আমরা এই নিয়ে কথা বলব।” মমতা-সাক্ষাতের আগে নীতীশের এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য যে, মমতাও কিছু দিন আগে বিরোধী জোট নিয়ে জানিয়েছিলেন, সব বিরোধী দল একে অপরের সঙ্গে কথা বলা শুরু করে দিয়েছে।

Advertisement

রবিবার সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর মিলেছিল, মঙ্গলবার দুপুর ২টোয় রাজ্যের প্রশাসনিক দফতর নবান্নে বৈঠকে বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। পরে রাতের দিকে নবান্ন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, মঙ্গলবার নয়, নীতীশ এবং মমতার বৈঠক সোমবারই হবে। তবে বৈঠকের সময় একই থাকছে। দুপুর ২টোয় আলোচনায় বসবেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। ওই বৈঠকে আর কেউ থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে সূত্রের খবর, মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি নেতা তেজস্বীপ্রতাপ যাদবের সঙ্গে লখনউয়ের বিমান ধরতে পারেন নীতীশ। সেখানে এসপি নেতা অখিলেশ সিংহ যাদবের সঙ্গে বৈঠক করার কথা তাঁদের।

Advertisement

সম্প্রতি দিল্লি সফরে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং রাহুল গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন নীতীশ। রাজধানীতে দাঁড়িয়ে নীতীশ জানিয়েছিলেন, বিরোধী জোট গঠনের উদ্দেশ্যে তিনি সব নেতানেত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চান। ওই সফরে নীতীশের সঙ্গে দেখা করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। বিরোধী জোট নিয়ে বাম নেতৃবৃন্দের সঙ্গেও কথা বলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তবে সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় আলাদা করে উল্লিখিত হয় মমতা এবং অখিলেশের কথা। কারণ, বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে তাঁদের অবস্থান সুস্পষ্ট হলেও বিরোধী জোটে কংগ্রেসের নেতৃত্ব নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল এবং সপা। রাহুলের সাংসদ পদ খারিজের পর অবশ্য খড়্গের ডাকা বিরোধীদের বৈঠকে প্রতিনিধি পাঠায় তৃণমূল। ইদানীং বিজেপির বিরুদ্ধে সকলকে এক হওয়ার বার্তা দিতে দেখা যাচ্ছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকেও। তিনি বহু বার জানিয়েছেন, বিরোধী দলগুলি এক হলে বিজেপি কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসবে না। সম্প্রতি বিভিন্ন রাজ্যে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়ে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনকে ফোন করেছিলেন মমতা। ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন নিজেই টুইট করে সে কথা জানান। ঘটনাচক্রে, নীতীশ এবং স্ট্যালিন দু’জনেই ইউপিএ জোটের শরিক। এ বার কথা হতে চলেছে নীতীশ-মমতার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement