কংগ্রেস সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: পিটিআই
ভোটে জিতেও শান্তি নেই। হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেসের কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, বিজেপি কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে, তা কী ভাবে আটকানো হবে, তা নিয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেল।
পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলের রেওয়াজ বজায় রেখেই কংগ্রেস আজ হিমাচলে বিজেপিকে হারিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছে। কিন্তু একই সঙ্গে কংগ্রেসে মুখ্যমন্ত্রী পদের অন্তত চার জন দাবিদারও উঠে এসেছেন— প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী বীরভদ্র সিংহের স্ত্রী তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভানেত্রী প্রতিভা সিংহ, তাঁর ছেলে বিক্রমাদিত্য, প্রাক্তন প্রদেশ সভাপতি তথা প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান সুখবিন্দর সিংহ সুখু ও বিরোধী দলনেতা মুকেশ অগ্নিহোত্রী। আশা কুমারীও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। যদিও তিনি ভোটে হেরে গিয়েছেন। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মাও মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে উঠে আসতে পারেন বলে অনেকের ধারণা।
একই সঙ্গে বিজেপি কংগ্রেসের বিধায়কদের ভাঙিয়ে, নির্দলদের নিয়ে সরকার গঠনের চেষ্টা করতে পারে বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বিজেপির ‘অপারেশন কমল’-এর ভয়ে এ দিনই ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী তথা হিমাচলের বিশেষ পর্যবেক্ষক ভূপেশ বঘেল, হরিয়ানার নেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা ও হিমাচলের ভারপ্রাপ্ত নেতা রাজীব শুক্লকে মাঠে নামানো হয়েছে। কংগ্রেস বিধায়কদের চণ্ডীগড়ে ডেকে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সেখানেই কংগ্রেসের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, সে বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির চেষ্টা হবে। প্রয়োজনে বিধায়কদের ছত্তীসগঢ় বা রাজস্থানের কোনও রিসর্টে পাঠানো হতে পারে। শুক্ল বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বিজেপির বিধায়ক ভাঙানোর চেষ্টা সফল হবে না। কারণ, কংগ্রেসের কাছে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ৩৫ জনের থেকেও পাঁচ জন বেশি বিধায়ক রয়েছেন।’’
কংগ্রেস সূত্রের খবর, দেবভূমি হিমাচলে ব্রাহ্মণ না ঠাকুর, কোন সম্প্রদায়ের নেতাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে, আগে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ঠাকুর মুখ্যমন্ত্রী হলে প্রতিভা সিংহ ও সুখবিন্দর এগিয়ে থাকবেন। মুকেশ অগ্নিহোত্রীর মতো ব্রাহ্মণ নেতা মুখ্যমন্ত্রী হলে ঠাকুর হিসেবে বিক্রমাদিত্য উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন।