পার্টিতে কে জিতল সেরা ‘সঙ্গী’র তকমা? প্রতীকী ছবি।
পার্টি মানেই পান ভোজন। বর্ষবিদায়ের দিনেও সেই নিয়ম বদলানোর কথা নয়। ঘরোয়া পার্টি হোক বা বড় পরিসরে আয়োজন কিংবা একা নিজের সঙ্গে নিজের পার্টি— খানাপিনা চলেছে অবিরাম। আর তাতে বিপুল লাভবান অনলাইনে খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলি। বর্ষবিদায়ের দিনে কারও খাতায় প্রতি মিনিটে ৯৫০০ অর্ডার জমা পড়েছে কোথাও আবার অর্ডারের ঘনঘটা সামলাতে পথে নামতে হয়েছে স্বয়ং সংস্থার প্রধানকে। তবে এ সবের মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে চমকে দেওয়ার মতো একটি হিসাব। জানা গিয়েছে, শুধু একটি খাবার সরবরাহকারী সংস্থা বর্ষবিদায়ের দিনে সাড়ে ৩ লক্ষের বেশি বিরিয়ানি পৌঁছে দিয়েছে ক্রেতাদের কাছে! তাঁদের সংস্থার দেওয়া হিসাব অনুযায়ী বিরিয়ানিই ছিল বর্ষবরণের রাতে সেরা পার্টি সঙ্গী। তবে বিরিয়ানিকে প্রায় সমানে সমানে টক্কর দিয়েছে আরও দু’টি খাবার।
খাবার সরবরাহকারী আর একটি সংস্থার দেওয়া হিসাব বলছে, প্রতি সেকেন্ডে একটি করে কেক সরবরাহ করেছে তারা। আবার অনলাইনে খাবার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহকারী দেশের দু’টি শীর্ষ সংস্থা জানাচ্ছে, ৩১ ডিসেম্বর ২০২২-এ লক্ষ লক্ষ টাকার চিপস সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে একটি সংস্থা সন্ধে ৭টা পর্যন্ত ১ লক্ষ ছিয়াত্তর হাজার প্যাকেট চিপস সরবরাহ করেছে। অন্য সংস্থাটি শুধু বেঙ্গালুরুর একটি অর্ডারেই ২৮ হাজার ৯৬২ টাকার চিপস সরবরাহ করেছে। বিকেল পর্যন্ত সরবরাহ করেছে ৫৬ হাজার ৪৩৭টি চিপসের প্যাকেট।
পিৎজার চাহিদাও ছিল দেখার মতো। ৩১শে ডিসেম্বরের রাতে কম করে ৬১ হাজার পিৎজা সরবরাহ করেছে একটি মাত্র ডেলিভারি সংস্থা। পিৎজা প্রস্তুতকারী অন্যান্য নামজাদা সংস্থাগুলিরও চাহিদা এক ধাক্কায় ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ হয়েছিল বর্ষবরণের রাতে। তবে বিরিয়ানি টেক্কা দিয়েছে সবাইকে। যে সাড়ে ৩ লক্ষ বিরিয়ানি সরবরাহ করার কথা জানিয়েছে, অনলাইন খাবার সরবরাহকারী সংস্থা, তারা জানিয়েছে, মোট অর্ডারের ৭৫ শতাংশই ছিল হায়দরাবাদি বিরিয়ানি। ১৪ শতাংশ চাহিদা ছিল লখনউ ঘরানার বিরিয়ানির। তবে তালিকায় তৃতীয় স্থান ছিনিয়ে নিয়েছে আলু দেওয়া কলকাতার বিরিয়ানিও। বিরিয়ানিপ্রেমীদের সাড়ে ১০ শতাংশ অর্ডার করেছিল কলকাতা বিরিয়ানির।
তবে বিরিয়ানি, পিৎজা, চিপসের রমরমা বাজারে খিচুড়িও পিছিয়ে নেই। বর্ষবরণের রাতে চাল-ডালের আরামদায়ক খাবারেও কব্জি ডুবিয়েছেন অনেকে। একটি সরবরাহকারী সংস্থা জানিয়েছে, বর্ষশেষের রাতে প্রায় সাড়ে বারো হাজার খিচুড়িও পৌঁছে দিয়েছেন তাঁরা। এ সবের সঙ্গেই আরও একটি দ্রব্যের চাহিদার কথা জানিয়েছে অনলাইন সরবরাহকারী সংস্থাগুলি। সেটি খাবার নয়। তবু নানা হিসাবের সঙ্গে এই হিসাবও জানিয়েছে তারা। সেই হিসাব বলছে, বর্ষশেষের রাতে কন্ডোমের চাহিদাও বেড়েছিল চোখে পড়ার মতো।