শাস্ত্রীয় ও লোকসঙ্গীতের অনবদ্য মিশ্রণে সম্প্রতি সঙ্গীত মহোৎসব হয়ে গেল হরিয়ানার গুড়গাঁওতে। উদ্যোক্তাদের দাবি, এই উৎসব মানের দিক থেকে কলকাতার ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্সের সঙ্গে তুলনীয় এবং দেশের এই অঞ্চলে এমন সঙ্গীত উৎসব আর নেই।
প্রথম দিনের শিল্পীরা ছিলেন রুদ্রবীণা বাদক উস্তাদ বাহাউদ্দিন ডাগর ও ধ্রুপদ কণ্ঠশিল্পী নির্মাল্য দে। উস্তাদ ডাগর দেশে ধ্রুপদচর্চায় অগ্রণী ডাগর ঘরানার ২০তম প্রজন্ম। ২০১২-তে সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কারজয়ী ডাগর একক অনুষ্ঠানের সঙ্গে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি সঙ্গীত প্রভাষক ও ইউরোপ-আমেরিকায় সঙ্গীত কর্মশালা করা নির্মাল্য দে-র সঙ্গে যুগলবন্দিও পরিবেশন করেন। সঙ্গে ছিলেন পাখোয়াজ শিল্পী সঞ্জয় আগলে।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান সুরশৃঙ্গার বাদনে মাতালেন পণ্ডিত সোমজিৎ দাশগুপ্ত। নৃতত্ত্বের প্রভাষক, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীতশিক্ষক ও গবেষক দাশগুপ্ত ছাড়াও ছিলেন পার্বতী বাউল। তিনি এই উৎসবে এনে দিলেন বাংলার মাটির গন্ধ। সনাতন দাস বাউল ও শশাঙ্ক গোঁসাই বাউলের এই শিষ্যা দেশে-বিদেশে একক অনুষ্ঠান করে চলেছেন ২০ বছর ধরে। একতারা ও ডুগডুগি বাজিয়ে, নূপুরের ঝঙ্কার সহযোগে তিনি পরিবেশন করলেন বাংলার নিজস্ব লোকগান বাউল। যেমন কিছু প্রচলিত গান করলেন, তেমনই গাইলেন নিজস্ব কিছু লোকগানও।