Puri Jagannath Temple

কী কী আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে? প্রকাশ্যে আনা হবে হিসাব, জানাল ওড়িশা সরকার

২০২৪ সালের আগে ১৯৭৮ সালে রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হয়েছিল। তখনই শেষ বারের মতো ভান্ডারের সম্পদের খতিয়ান নেওয়া হয়। তার পর গত ৪৬ বছরে সেই সম্পদের পরিমাণ কত হয়েছে, তা আর কখনও হিসাব করে দেখা হয়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ২০:০১
Share:
পুরীর জগন্নাথ মন্দির।

পুরীর জগন্নাথ মন্দির। — ফাইল চিত্র।

কী কী আছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারে? এ বার সেই তথ্যই প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত নিল ওড়িশা সরকার। শনিবার ওড়িশা বিধানসভায় রাজ্যের আইনমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ হরিচন্দন লিখিত নির্দেশে জানিয়েছেন, দ্রুত এ সংক্রান্ত রিপোর্ট জনসমক্ষে আনতে হবে। তা হলে কি এ বার অবসান হতে চলেছে এত বছরের রহস্যের? ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে জল্পনা।

Advertisement

এর আগে ১৯৭৮ সালে শেষ বারের জন্য জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হয়েছিল। সে বছরই শেষ বারের মতো ভান্ডারের সম্পদের খতিয়ান নেওয়া হয়। তিরুপতি বা দক্ষিণ ভারতের অন্যান্য মন্দিরের সম্পদের তুলনায় জগন্নাথ ‘মধ্যবিত্ত’! ৩০০০ কোটির কাছাকাছির মালিক তিরুপতি মন্দিরের পাশে পুরীর জগন্নাথের ভাঁড়ারে রয়েছে বড়জোর কয়েকশো কোটি টাকা। রয়েছে ১২৮ কেজি সোনা এবং ২২১ কেজি রুপোর গয়না। সোনার গয়নাগুলির প্রতিটিতেই খচিত রয়েছে বহুমূল্য রত্ন। তবে এ অবশ্য ১৯৭৮ সালের হিসাব। তার পর গত ৪৬ বছরে সেই সম্পদের পরিমাণ কত হয়েছে, তা আর কখনও হিসাব করে দেখা হয়নি। এ বার সেই তথ্যই প্রকাশ্যে আনবে ওড়িশা সরকার। পৃথ্বীরাজ জানিয়েছেন, রত্নভান্ডারের প্রয়োজনীয় সংস্কারের কাজ শেষ হলেই গণনার কাজ শুরু হবে। তার পর সম্পদের পরিমাণের তথ্য আনা হবে জনসমক্ষে।

দ্বাদশ শতকের জগন্নাথ মন্দিরের রত্নভান্ডার নিয়ে নানা রকম কাহিনি চালু আছে। এ-ও কথিত আছে, ভান্ডারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে জগন্নাথ মন্দিরের বিপুল রত্নরাজির প্রহরায় নাকি থাকে একাধিক সাপ! অনেকে বলেন, ভান্ডারের ভিতর প্রকোষ্ঠে নাকি একটি সুড়ঙ্গও রয়েছে। যদিও সে সব দাবির সপক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। গত বছর প্রায় ৪৬ বছর পর রত্নভান্ডারের দরজা খোলা হয়েছিল। রত্নভান্ডারের ভিতর কোনও গোপন সু়ড়ঙ্গ বা কুঠুরি রয়েছে কি না, তা জানতে রাজ্য প্রশাসন এবং ভারতের পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণ (এএসআই)-এর অনুমতিতে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধানও চালানো হয়েছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement