Indian Army

‘নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতিশীলতা অব্যাহত’, বুধের পাকিস্তান সেনার আগ্রাসন নিয়ে বিবৃতি ভারতীয় সেনাবাহিনীর

২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার পর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা বিশেষ ঘটেনি। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ১৫:২৫
Share:

নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের জল্পনা উড়িয়ে দিল ভারতীয় সেনা! — প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় স্থিতিশীলতা অক্ষুণ্ণ রয়েছে। বুধবারের ঘটনা নিয়ে এমনটাই জানাল ভারতীয় সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উদ্বেগের কোনও কারণ নেই! জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের সেনার মধ্যে সমঝোতা মেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি অক্ষুণ্ণ রয়েছে।

Advertisement

বুধবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছিল, জম্মু ও কাশ্মীরের কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়েছে পাকিস্তান। হামলার পর পাকিস্তানকে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। যার জেরে পাক সেনার ‘ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে বলে দাবি করা হয় ওই সূত্রে, যদিও পাকিস্তানের তরফে এখনও এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। এরই মাঝে আবার পাক সেনার জনৈক আধিকারিকের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন)। ভিডিয়োয় কোনও তারিখ উল্লেখ করা না থাকলেও তাতে দেখা যাচ্ছে, নিহত সেনাদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন ওই আধিকারিক। ফলে ভারতীয় সেনা সূত্রে পাওয়া খবর এবং তার পরেই ওই ভিডিয়ো— শুরু হয় জল্পনা।

যদিও বৃহস্পতিবার সকালেই বিবৃতি দিয়ে যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘‘নিয়ন্ত্রণরেখায় ছোটখাটো ঘটনা ‘নজিরবিহীন’ নয়। এ বিষয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট বিভাগে জানানোও হয়েছে। তবে আপাতত পরিস্থিতি স্থিতিশীল। বরং ঘটনার পর থেকে আরও সতর্ক রয়েছে সেনাবাহিনী।’’

Advertisement

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি চুক্তি পুনর্নবীকরণ করার পর থেকে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘনের ঘটনা বিশেষ ঘটেনি। এ বারেও তার অন্যথা হয়নি বলে জানিয়েছে ভারতীয় সেনা। তবে গত সাত দিনে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নানা ধরনের হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। মঙ্গলবারই আইইডি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন দুই সেনা জওয়ান। আহত হয়েছেন আরও এক জন। এর আগে সোমবারও কুপওয়ারা জেলায় নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর তল্লাশি অভিযানের সময় বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। তারও আগে গত ৪-৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টর হয়ে পুঞ্চে ঢোকার চেষ্টা করছিল সাত পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারী। ভারতীয় জওয়ানদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে তারা। শেষমেশ যদিও দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে সাত জনেরই মৃত্যু হয়েছে। সেনার এক সূত্রের দাবি, নিহত সাত জনের মধ্যে দু’-তিন জন পাক সেনাও রয়েছেন। এ ছাড়া, নিহতদের মধ্যে বাকিরা অল বদর জঙ্গিগোষ্ঠীর সদস্য বলেও দাবি করা হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement