• একস্ট্রা কর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন (ইসিএমও বা একমো) কী?
ফুসফুস ও হৃৎপিণ্ড দু’টিই কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেললে এটি ব্যবহার করে শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। বাইপাস বা ভালভ প্রতিস্থাপনের সময়েও এই প্রক্রিয়া চলে।
• রক্ত চলাচলের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া কী?
শিরা থেকে দূষিত রক্ত প্রথমে হৃৎপিণ্ডের ডান দিকে যায়। তার পর তা পৌঁছয় ফুসফুসে। ফুসফুস সেই রক্তকে শুদ্ধ করে ফেরত পাঠায় হৃৎপিণ্ডের বাঁ দিকের অংশে। সেখান থেকে মহা ধমনীর মাধ্যমে তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা শরীরে।
• একমো কী ভাবে কাজ করে?
একটি যন্ত্রের মাধ্যমে শরীরের সমস্ত রক্তের সার্কুলেশন করা হয়। কৃত্রিম উপায়ে তা থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড শুষে নিয়ে রক্তে অক্সিজেন প্রবেশ করানো হয়।
• কত দিন এই প্রক্রিয়া চলতে পারে?
মাসখানেক চলতে পারে। হৃৎপিণ্ড প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে মাস তিনেকও করা হয়। মেয়াদ বাড়লে সংক্রমণ ছড়ানোর ভয় বেশি। শরীরও বেশি দিন এই ধকল নিতে পারে না।
• জয়ললিতার ক্ষেত্রে কেন করতে হল?
জয়ললিতার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে। মনে রাখতে হবে, কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট আর হার্ট অ্যাটাক এক নয়।
• পার্থক্যটা কী?
কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হল হৃৎপিণ্ড থেমে যাওয়া। আর হার্ট অ্যাটাক হল হার্ট মাসলের কিছুটা অংশ অকেজো হয়ে পড়া। অকেজো অংশের পরিমাণ খুব বেশি হলে তা থেকে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আকস্মিক মৃত্যু ঘটে অনেকেরই।
• কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে তা সামলাতে দ্রুত কী করা যেতে পারে?
প্রথমে কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন। তারপর শ্বাসনালীতে টিউব পরিয়ে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা করা। হৃৎপিণ্ডের সঙ্কোচন-প্রসারণ বাড়াতে কিছু ওষুধও দেওয়া হয়। এর পরেও কাজ না হলে ইসিএমও বা একমো-র আশ্রয় নেওয়া হয়।