বাবা সিদ্দিকি। —ফাইল চিত্র।
অস্ট্রেলিয়ান পিস্তল থেকে পর পর ছ’টি গুলি চালিয়েছিলেন। তার মধ্যে তিনটি বিঁধেছিল এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকির গায়ে! পুলিশি জেরায় এমনই জানিয়েছেন হত্যাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত তথা তৃতীয় শুটার শিবকুমার। উল্লেখ্য, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট থেকে জানা যায় সিদ্দিকির শরীর থেকে তিনটি গুলি পাওয়া গিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তা হলে কি শিবকুমারের ছোড়া গুলিতেই খুন হন সিদ্দিকি? কারণ, এনসিপি নেতাকে খুনের জন্য তিন শুটার ভাড়া করা হয়েছিল। বাকি দুই শুটারের গুলি কি গায়েই লাগেনি সিদ্দিকির? পুলিশ সূত্রে খবর, তিন শুটার— গুরমেল সিংহ, ধর্মরাজ কাশ্যপ এবং শিবকুমার, একে অপরকে কেউ চিনতেন না। হত্যার পর তিন জনের জম্মু ও কাশ্মীরে বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল বলে পুলিশকে জানিয়েছেন শিবকুমার।
রবিবার উত্তরপ্রদেশের বহরাইচ থেকে শিবকুমারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ডের আগে এবং পরে বেশ কিছু সিম কার্ড, মোবাইল ব্যবহার করেছিলেন শিবকুমারই। পুলিশ সূত্রে খবর, সিদ্দিকি-খুনে কুখ্যাত গ্যাংস্টার লরেন্স বিশ্নোই দলের যোগ আছে বলে স্বীকার করেছেন শিবকুমার। তিন শুটারকে আলাদা আলাদা লোক নিযুক্ত করেছিলেন। পরে তিন শুটার এক জায়গায় মিলিত হয়ে পরিকল্পনা করেন।
রবিবার শিবকুমার ছাড়া আরও চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে হত্যাকাণ্ডের মূল দুই অভিযুক্ত শুভম লোঙ্কার এবং জ়িশান আখতার এখনও পলাতক। সূত্রের খবর, শুভমই তিন শুটারকে বাছাই করেছিলেন। আর জ়িশান অর্থ জুগিয়েছিলেন। লরেন্স এবং তাঁর ভাই আনমোলের নির্দেশেই আগ্নেয়াস্ত্র এবং অন্যান্য সাহায্য করা হয়েছিল।
গত ১২ অক্টোবর দশেরার উৎসব চলাকালীন বান্দ্রায় গুলি করে খুন করা হয়েছিল সিদ্দিকিকে। তাঁকে গুলি করার জন্য তিন জন আততায়ী এসেছিল ঘটনাস্থলে। তাদের মধ্যে দু’জনকে সেখান থেকেই গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। কিন্তু শিবকুমার পালিয়ে গিয়েছিলেন। তার পর থেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। নেপালে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল শিবকুমারের। তার আগেই পুলিশের জালে ধরা পড়েন তিনি।