ভয়াবহ তুষারধসে বরফের তলায় চাপা পড়ে যান প্রায় ২০-৩০ জন পর্যটক। ছবি: পিটিআই।
সিকিমের নাথু লায় এখনও পর্যন্ত এক শিশু ও দুই মহিলা সহ মোট সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১৩। মৃত এবং আহতদের সকলের পরিচয় প্রকাশ করল সিকিম সরকার। মৃতদের মধ্যে দু’জন পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। আহত ১৩ জনের মধ্যে সাত জনই এ রাজ্যের বাসিন্দা।
মৃতদের মধ্যে রয়েছেন, শিব লামিচানে এবং আশিকা ঢাকাল (২২) দু’জনেই নেপালের চিতওয়ানের বাসিন্দা। বাল সিংহ (৩২) এবং রেবিয়া সিংহ (৬) উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। সৌরভ রায়চৌধুরী (২৮) এবং প্রীতম মাটি (৩৮) দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এর মধ্যে প্রীতম বাড়ি কলকাতায়। সৌরভের বাড়ি কোথায় সেটা জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত। অন্য জন মুনা শাহ শ্রেষ্ট্রা। বাড়ি নেপালের রুপান্ডিতে। সিকিম সরকারের তরফ থেকে মৃতদেহগুলি বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। আহতদেরও একটি নামের তালিকা প্রকাশ করেছে সিকিম সরকার। আহতদের মধ্যে সাত জন এ রাজ্যের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে সাত জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা গ্যাংটকের স্যর থুটোব নামগিয়াল মেমোরিয়াল হাসপাতালে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে গ্যাংটক থেকে নাথু লা যাওয়ার পথে ১৫ মাইলে হঠাৎই তুষারধস নামে। সেই ধসে পর্যটকদের ৫-৬টি গাড়ি বিপর্যয়ের কবল পড়ে। বরফের তলায় চাপা পড়ে যান প্রায় ২০-৩০ জন পর্যটক। উদ্ধারকাজে নামে সেনাবাহিনী, সিকিম পুলিশ, সিকিমের ট্র্যাভেল অ্যাসোসিয়েশন, পর্যটন দফতরও। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর উদ্ধারকাজ স্থগিত রাখা হয়েছে। যদি কোনও পর্যটক এখনও বরফের তলায় চাপা পড়ে থাকেন তাঁদের খোঁজে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ফের উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে।