ফাইল চিত্র।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে তদন্তে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে নথির ব্যাপারে ই-মেল করেছে সিবিআই। তবে সূত্রের দাবি, সমান্তরাল ভাবে হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ব্যাপারে আরও কিছুটা অগ্রসর হয়েছে রাজ্য সরকার। শনিবার এ ব্যাপারে প্রশাসনের অন্দরে জোরদার তৎপরতা ছিল। এ নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও। তা থেকেই প্রশাসনের অন্দরে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার জল্পনা জোরালো হয়েছে।
প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের অনুমান, এই তৎপরতা শেষপর্যন্ত অব্যাহত থাকলে, আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে রাজ্য। তবে এ দিন পর্যন্ত এ বিষয়ে সরাসরি কেউ মুখ খোলেননি। প্রসঙ্গত, রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারে তা আঁচ করেই সম্ভবত মামলাকারীদের তরফে সুপ্রিম কোর্টে ‘ক্যাভিয়েট’ করে রাখা হয়েছে।
প্রশাসনের একাংশের দাবি, ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করবে সিবিআই। ফলে এ ক্ষেত্রে তেমন দুশ্চিন্তায় নেই সরকার। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, প্রথমত, ধর্ষণের অভিযোগের যে নথি তা শুরুতে হাতে পায়নি সরকার। দ্বিতীয়ত, ধর্ষণের কোনও অভিযোগ পুলিশের কাছে জমা পড়েনি। আবার যে ২৩ জন খুন হয়েছেন বলে অভিযোগ, তার মধ্যে ১৫ জনই তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। সামগ্রিক ভাবে কিছু ঘটনা ঘটেছে ভোট চলাকালীন, তখন রাজ্য প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। ৫ মে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা শপথগ্রহণের আগে পর্যন্ত বাকি কিছু ঘটনা ঘটেছে। তখনও প্রশাসনিক রাশ রাজ্যের হাতে ছিল না। বরং রাজ্য সরকার প্রশাসনের রাশ হাতে পেয়েই পুলিশকে কড়া হাতে সব ধরনের ঘটনা সামাল দিতে নির্দেশ দিয়েছিল। এমনকি, কোনও অভিযোগ উঠলে যাতে রাজনৈতিক রং দেখা না হয়, সেই বার্তা প্রকাশ্যেই দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আধিকারিকদের অনেকেরই অভিমত, এই মামলা যদি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যায়, তা হলে রাজ্য সরকারের তরফে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগগুলি সম্পর্কে বলার যথেষ্ট অবকাশ থাকতে পারে।