ভবনের নকশা তৈরি হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থার নকশাও প্রস্তুত। সেই সব নকশার ভিত্তিতে চেন্নাইয়ে ছ’তলা একটি অতিথিশালা তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। প্রাথমিক ভাবে খরচ ধরা হয়েছে ১০ কোটি টাকার কিছু বেশি। পূর্ত দফতরের স্ক্রিনিং কমিটি এই প্রস্তাব মঞ্জুর করেছে।
নবান্ন সূত্রের খবর, বাংলার ওই অতিথিশালার জন্য তামিলনাড়ু সরকার জমি বরাদ্দ করেছে। পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা এলাকা ঘুরে দেখে এসেছেন। শীঘ্রই কাজ শুরু করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত ওই অতিথি নিবাসের কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই অতিথিশালা খুবই জরুরি বলে মনে করেন চেন্নাইয়ের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারা। সংগঠনের প্রাক্তন সম্পাদক, বর্তমানে ট্রাস্টির সদস্য মলয় রায় বলেন, ‘‘চোখের চিকিৎসা-সহ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করাতে প্রচুর বাঙালি চেন্নাইয়ে আসেন। লেখাপড়া, চাকরির জন্যও অনেকে এই শহরে থাকেন। সরকারি অতিথিশালা থাকলে খুব ভাল হবে।’’
পূর্ত দফতরের স্ক্রিনিং কমিটির এক সদস্য জানান, পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রচুর মানুষ নিয়মিত চেন্নাই যান। বিশেষত চিকিৎসা করাতে ইদানীং ওই শহরে যাচ্ছেন অনেকে। বহু টাকা খরচ করে হোটেল বা লজে উঠে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে তাঁদের। মানুষের কষ্ট লাঘব করতেই এই সরকারি অতিথিশালা তৈরির উদ্যোগ। ওই পূর্তকর্তা জানান, ভিন্ রাজ্যে সরকারি অতিথিশালা থাকলে বাংলার মানুষের থাকার সুবিধা হবে। সেই দিকে লক্ষ রেখেই এই ভবন। দিল্লিতে একটি বঙ্গভবন ছিল। রোজই বহু মানুষ এবং সরকারি আমলা বিভিন্ন কাজে দিল্লি যাচ্ছেন। রাজ্যের ভিআইপি এবং ভিভিআইপিরা বিভিন্ন কাজে নিয়মিত দিল্লি যাওয়ায় নতুন একটি বঙ্গভবন তৈরি করা হয়েছে। এই রাজ্যের মানুষ সেখানে গেলে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় থাকতে পারছেন। সরকারি, বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত মানুষ থাকার সুবিধা পাবেন চেন্নাইয়ের অতিথিশালাতেও।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় নতুন নতুন হাসপাতাল তৈরির কাজ শুরু হয়। পথসাথী প্রকল্পে জাতীয় সড়কের ধারে যাত্রীদের বিশ্রামের জন্য বিভিন্ন জেলায় রেস্তরাঁ, বিশ্রামাগার, সুলভ শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। সেগুলো সবই মানুষের কাজে লাগছে। একই ভাবে চেন্নাইয়ের সরকারি অতিথিশালা বঙ্গবাসীর নানান প্রয়োজন মেটাবে।