National News

দশ দিন পর বিয়ে, হন্যে হয়ে বাবাকে খুঁজছেন রুবি

রুবিকে কয়েক জন বলেছেন হাসপাতালে খোঁজ নিতে। ভোররাতের দুর্ঘটনায় সম্ভবত গুরুতর জখম হয়েছেন রামপ্রসাদ। হয়তো হাসপাতালেই ভর্তি এখন। তবে এক জন আরও অপ্রিয় একটা সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন। রুবিকে তিনি বলেছেন মর্গে খোঁজ নিতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৬ ২১:২৯
Share:

রুবি গুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।

রুবিকে কয়েক জন বলেছেন হাসপাতালে খোঁজ নিতে। ভোররাতের দুর্ঘটনায় সম্ভবত গুরুতর জখম হয়েছেন রামপ্রসাদ। হয়তো হাসপাতালেই ভর্তি এখন। তবে এক জন আরও অপ্রিয় একটা সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন। রুবিকে তিনি বলেছেন মর্গে খোঁজ নিতে।

Advertisement

পটনা-ইনদওর এক্সপ্রেসে চড়ে বাবা রামপ্রসাদ গুপ্তর সঙ্গে আজমগঢ় যাচ্ছিলেন বছর কুড়ির রুবি গুপ্ত। সঙ্গে রুবির আরও চার ভাই-বোন অর্চনা, খুশি, অভিষেক, বিশালও ছিলেন। ১ ডিসেম্বর রুবির বিয়ে। আজমগঢ়েই বিয়ের অনুষ্ঠান হওয়ার কথা। দিন দশেক আগেই সেখানে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল পুরো পরিবারের। পৌঁছনো হল না। কানপুরের কাছে ভোররাতে বেলাইন হয়ে গেল ট্রেনের ১৬টি কামরা।

শতাধিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম দ্বিশতাধিক। রুবি গুপ্ত নিজেও জখম। হাত ভেঙেছে। কিন্তু হাত ভাঙার যন্ত্রণা এখন তেমন অনুভব করতে পারছেন না তিনি। কারণ ভোরের আলো ফোটার পর থেকে দিশাহার হয়ে বাবা রামপ্রসাদ গুপ্তকে খুঁজছেন। কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না। বললেন, ‘‘সম্ভাব্য সব জায়গায় বাবাকে খুঁজলাম। পেলাম না। কেউ বললেন হাসপাতালে খোঁজ নিতে, কেউ বললেন মর্গে খোঁজ নিতে। আমি বুঝতে পারছি না, কী করব।’’

Advertisement

দিন দশেক পরে বিয়ে। তার কী হবে? রুবি গুপ্ত ভাবছেনই না। বললেন, ‘‘বিয়ে হবে কি হবে না, জানি না। এখন আমি শুধু বাবাকে খুঁজে পেতে চাই।’’

আরও পড়ুন: কানপুরে ট্রেন উল্টে হত শতাধিক, লাইনে ফাটল ছিল বলে সন্দেহ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement