আগামী কয়েক দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জোরালো বৃষ্টি হতে পারে উত্তর-পূর্ব, মধ্য ভারতের একাংশেও। ছবি: রয়টার্স।
দেশের দুই প্রান্তে বিপরীত ছবি!
পশ্চিমবঙ্গ-সহ পূর্ব ভারতে যখন বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর, তখনই মৌসম ভবনের তরফে পশ্চিম ভারতের রাজস্থান ও পঞ্জাবে তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হচ্ছে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, পূর্ব ভারতে বর্ষা হাজির বলেই আকাশ মেঘলা, বৃষ্টিও হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিম ভারতের শেষ প্রান্তে মৌসুমি বায়ু এখনও পৌঁছয়নি। তাই সেখানে চলছে প্রচণ্ড গরম। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে বঙ্গের উপর দিয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত একটি অক্ষরেখার প্রভাবে এ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আগামী কয়েক দিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। জোরালো বৃষ্টি হতে পারে উত্তর-পূর্ব, মধ্য ভারতের একাংশেও। রাজ্যের কোথাও দিনের তাপমাত্রা খুব বেশি বাড়বে বা কমবে না।
মেঘ থাকায় দিনের তাপমাত্রা কম হলেও রাতে ভ্যাপসা মালুম হতে পারে। আবহবিদেরা জানাচ্ছেন, কয়েক বছর ধরে জুনে অনিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছিল। ক্ষতি হচ্ছিল কৃষিকাজের। এ বার বর্ষা আসার পর থেকে যে-ভাবে নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে, কৃষকেরা তার সুফল পেতে পারেন। নিয়মিত বৃষ্টি হওয়ায় নদীতে ইলিশের ঝাঁক ঢোকার আশাও দেখছেন মৎস্যবিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, মোহনার কাছে মিষ্টি জলের পরিমাণ বাড়লে ইলিশ ঢোকে।
আবহবিজ্ঞানীদের মতে, বর্ষার সময়ে নিম্নচাপ বা অক্ষরেখা থাকলে তা বর্ষাকে শক্তিশালী করে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ক্রমে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে বর্ষা। এ দিন সে পৌঁছে গিয়েছে মধ্যপ্রদেশের পশ্চিম ভাগে।