‘সব কৃষকের ঋণ মকুব না করা পর্যন্ত মোদীকে ঘুমোতে দেব না’, ফের তোপ রাহুলের

সংসদ ভবন থেকে বেরনোর মুখেই সাংবাদিকদের রাহুল বলেন, ‘‘নোটবন্দি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। গরিব, কৃষক, ক্ষেতমজুর ছোট দোকানদারদের টাকা লুঠ করেছে মোদী সরকার। সেই টাকা ঢুকেছে মোদী এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠ মুষ্টিমেয় কয়েকজন শিল্পপতির পকেটে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ১৩:৩৫
Share:

নোটবন্দি, রাফাল, কৃষিঋণ মকুব নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র

প্রচারে বলেছিলেন দশ দিন। ক্ষমতায় আসার পর সময় নিলেন এক দিন। মধ্যপ্রদেশ-ছত্তীসগঢ়ে কৃষিঋণ মকুবকে হাতিয়ার করে ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তোপ দাগলেন রাহুল গাঁধী। কংগ্রেস সভাপতির হুঁশিয়ারি, ‘‘দেশের সব কৃষকের ঋণ মকুব না হওয়া পর্যন্ত মোদীকে ঘুমোতে দেব না।’’ সঙ্গে রাফাল, নোটবন্দি নিয়েও প্রধানমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করেছেন রাহুল।

Advertisement

শাসক-বিরোধী হই-হট্টগোলে সোমবার সংসদের উভয় কক্ষের কাজকর্ম দফায় দফায় ব্যাহত হয়। মঙ্গলবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। সকালে শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মুলতুবি হয়ে যায় লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন। সংসদ ভবন থেকে বেরনোর মুখেই সাংবাদিকদের রাহুল বলেন, ‘‘নোটবন্দি বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি। গরিব, কৃষক, ক্ষেতমজুর ছোট দোকানদারদের টাকা লুঠ করেছে মোদী সরকার। সাড়ে চার বছরে লুঠ হয়েছে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকা। সেই টাকা ঢুকেছে মোদী এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠ ১৫-২০ জন শিল্পপতির পকেটে।’’

মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়ে ভোটপ্রচারে রাহুল বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে দশ দিনের মধ্যে কৃষিঋণ মকুব করে দেবে কংগ্রেস। মধ্যপ্রদেশে কমল নাথ এবং ছত্তীসগঢ়ে ভূপেশ বঘেল শপথ নেওয়ার দিন সোমবারই কৃষিঋণ মকুব করে দিয়েছেন। রাজস্থানেও মকুব করার প্রস্তুতি চলছে। এই বিষয়টি যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে হাতিয়ার করবেন রাহুল, তা এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘মোদী সরকার কৃষিঋণ মকুব করেনি, উল্টে বড় শিল্পপতিদের ঋণ দিয়েছে। তাঁরা দেশের গরিব মানুষের টাকা লুঠ করে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছেন।’’ তিন রাজ্যের ভোটে কৃষক দিনমজুরদের জয় হয়েছে বলেও এদিন মন্তব্য করেন রাহুল।

Advertisement

আরও পড়ুন: বছরে তৃণমূলের আয় মাত্র ৫ কোটি! সিপিএমের চেয়েও গরিব মমতার দল, শীর্ষে বিজেপি

আরও পডু়ন: শিখ-বিরোধী দাঙ্গায় যাবজ্জীবনের পর দিনই কংগ্রেস ছাড়লেন সজ্জন কুমার

কৃষিঋণ মকুব নিয়েই সবচেয়ে এদিন সবচেয়ে বেশি সরব ছিলেন রাহুল। এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর হাতে দু’টি বিকল্প ছিল— কৃষকদের ঋণ মকুব করা অথবা গরিবের টাকা লুটে বড়লোকদের পকেটে ঢোকানো। মোদী প্রথম বিকল্পই বেছে নিয়েছেন। নোট বাতিল করেছেন, জিএসটি চালু করেছেন। ফলে গরিব মানুষের কষ্টার্জিত টাকা লুটে নিয়েছে সরকার। আর সেই টাকা অনীল অম্বানী, জয় শাহ্‌র মতো ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিলিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।’’

রাফাল নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির কটাক্ষ, ‘‘এখন সবেতেই ‘টাইপো এরর’ (ছাপার ভুল) বেরোবে। রাফালে বেরিয়েছে, এবার নোটবন্দি, ব্যাঙ্ক ঋণ সব কিছুকেই টাইপো এরর বলে চালানোর চেষ্টা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement