সায়নীর বক্তব্য, ‘‘দিদি-র সঙ্গে রাতে কথা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে সাহায্য করেছেন, তা মনে থাকবে। ফাইল চিত্র
ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষের লড়াইয়ে যে ইতি পড়ছে না, জামিন পাওয়ার পরই তা স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিলেন তৃণমূলের যুব নেত্রী। জামিন পাওয়ার খানিক বাদে সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ প্রমাণিত। আমাদের লড়াই চলবে। এ ভাবে দমানো যাবে না।’’
সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টা নাগাদ সায়নীকে তোলা হয় আগরতলা আদালতে। আদালত সূত্রে খবর, পুলিশ সায়নীকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল। কিন্তু শুনানির পর বিচারক সেই আর্জি খারিজ করে দেন। তার পরই আদালত থেকে বেরিয়ে সায়নী বলেন, ‘‘আদালতের প্রতি বিশ্বাস ছিল। এটা সত্যের জয়। যে পথে লড়াই করেছি, সেই পথেই লড়ব। মিথ্যা মামলা করে দমানো যাবে না।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘আমাকে তো শারীরিক ভাবে হেনস্থাও করা হয়েছে। রাতে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তাতে আমি শঙ্কিত হয়ে পড়ি। তার পর আমাকে অন্য একটি পুলিশ স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।’’ এর পর সায়নীর বক্তব্য, ‘‘দিদি-র সঙ্গে রাতে কথা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে সাহায্য করেছেন, তা মনে থাকবে। একই সঙ্গে বলব, এখানকার আমাদের দলের কর্মীরাও আমার জন্য সারাক্ষণ লড়াই করেছেন। আমরা এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ছি না।’’
প্রসঙ্গত, সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। রবিবার পুলিশ বলেছিল, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। সেই সময় এক পথচারীকে ধাক্কা দেয় সায়নীর গাড়ি। এ ছাড়া সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগও এনেছিল পুলিশ। এর পর থানায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সায়নীকে। পরে গ্রেফতার করা হয়। সায়নীকে গ্রেফতারির পর থেকে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে ত্রিপুরা তথা দেশের রাজনীতি। ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। তিনি সেখানে দীর্ঘ সাংবাদিক বৈঠক করেন।
অন্য দিকে, রাজধানী দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে ত্রিপুরা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করে তৃণমূল প্রতিনিধি দল। সোমবার বিকেল ৪টে থেকে প্রায় আধ ঘণ্টা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ১৫ জন তৃণমূল সাংসদ বৈঠক করেন। বৈঠকের পর তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ত্রিপুয়ার আর সন্ত্রাস হবে না।’’
এই আবহে সায়নীর জামিনে কিঞ্চিৎ স্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির।