সায়নী ঘোষ। —ফাইল চিত্র।
জামিন পেলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। সোমবার বিকেল পৌঁনে ৫টা নাগাদ সায়নীকে তোলা হয় আগরতলা আদালতে। পুলিশ সায়নীকে দু’দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে। তবে শুনানির পর তাঁকে জামিন দেন বিচারক।
সায়নীর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ছিল। রবিবার পুলিশ বলেছিল, মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার পাশ দিয়ে জোরে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন সায়নী। সেই সময় এক পথচারীকে ধাক্কা দেয় সায়নীর গাড়ি। এ ছাড়া সায়নীর বিরুদ্ধে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগও এনেছিল পুলিশ। এর পর থানায় দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সায়নীকে। পরে গ্রেফতার করা হয়। সায়নীর গ্রেফতারির পর থেকে ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করে ত্রিপুরার রাজনীতি।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ অবশ্য দাবি করেন, ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায়ের সোমবারের সভা বানচাল করতেই পরিকল্পনা করে এই সব করা হয়েছে। সোমবার সায়নীর জামিনের পর টুইটারে কুণালের দাবি, ‘ভিত্তিহীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার আইনি জবাব।’ আগামী ২৫ নভেম্বর আগরতলায় পুরসভা ভোট। তার আগে মঙ্গলবারই প্রচারের শেষ দিন। অভিষেকের সভা যে সোমবার হবে তা আগে থেকেই ঠিক ছিল। তৃণমূলের দাবি, পূর্ব পরিকল্পিত ভাবেই শেষমুহূর্তের প্রচার বানচাল করা হয়েছে ত্রিপুরা প্রশাসনের তরফে।
সায়নী গ্রেফতার হওয়ার পর সোমবার সকালেই ত্রিপুরায় পৌঁছন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক। আগরতলা বিমানবন্দরে নেমেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সরকারকে আক্রমণ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় নৈরাজ্য চলছে। সায়নী শুধু খেলা হবে স্লোগান দিয়েছিলেন। সেই স্লোগান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দিয়েছিলেন। তবে কি মোদীকে গ্রেফতার করা হবে?’’ সায়নী গ্রেফতার করার আগে ত্রিপুরায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলাকারীদের কেন গ্রেফতার করা হয়নি তা-ও জানতে চেয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক। পরে বিমানবন্দর থেকে সোজা পৌঁছে যান হোটেলে। সেখানে তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সয়নীর জামিন প্রক্রিয়া নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠক করেন আইনজীবীদের সঙ্গেও।
অন্য দিকে, সায়নীর গ্রেফতারি নিয়ে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূলের সাংসদরাও। সায়নীকে গ্রেফতারের বিষয় এরপরই ত্রিপুরা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।