বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন। ফাইল চিত্র।
এ বার সরাসরি। ‘রামমন্দির-আন্দোলন’ ভারতের ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের থেকেও বড়’ বলে মন্তব্য করলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরেন্দ্র জৈন।
কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির অভিযোগ, স্বাধীনতা আন্দোলনে সঙ্ঘ পরিবার তথা গেরুয়া শিবিরের যে কোনও-ভূমিকাই ছিল না, তা বারবার স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার অস্বস্তি ঢাকতেই রাম মন্দিরকে সামনে রেখে মেরুকরণের মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। সে কারণেই স্বাধীনতা আন্দোলনকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা চলছে।
রবিবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের এক বিবৃতিতে সুরেন্দ্রর নাম করে বলা হয়েছে, ‘‘১৯৪৭ সালে রাজনৈতিক স্বাধীনতা মিলেছিল। কিন্তু রামমন্দির আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা পেয়েছি।’’ তাঁর দাবি, এই পথেই রামরাজ্যের দিকে দেশ যাত্রা-শুরু করেছে।
১৯৯২ সালে অযোধ্যার বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয় করসেবকদের হাতে। ২০১৯ সালে সর্বোচ্চ আদালত হিন্দুদের পক্ষেই রায় দেয়। বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির তৈরির অনুমতি মেলে। তার পর থেকেই বিজেপি রামমন্দিরকে আঁকড়ে ধরার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, সেটা করতে গিয়ে যেমন মেরুকরণ করার চেষ্টা চলছে, তেমনই দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনকেও খাটো করে দেখানোর জন্য সক্রিয় গেরুয়া শিবির।
নরেন্দ্র মোদীর জমানায় মেরুকরণের চেষ্টা যত তীব্র হয়েছে, ততই স্বাধীনতা আন্দোলনে অখিল ভারতীয় হিন্দু মহাসভার নেতা তথা বিজেপির অন্যতম ‘আইকন’ বিডি সাভারকর-সহ অনেক হিন্দুত্ববাদী নেতার ভূমিকা ও ব্রিটিশদের কাছে বারবার ক্ষমা চাওয়া নিয়ে সমাজমাধ্যমে কাটাছেঁড়া চলছে। অস্বস্তি ঢাকতে স্বাধীনতা সংগ্রামে কংগ্রেস ও বামপন্থী নেতাদের ভূমিকাকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টাও জারি রয়েছে বিজেপি শিবিরে।