ঐশ্বর্যের সঙ্গে আজ আংটি বদল করলেন লালুপুত্র তেজপ্রতাপ।
ঐশ্বর্য রায়ের সঙ্গে সগাই হল লালুপ্রসাদের বড়ছেলে তেজপ্রতাপের। আগামী ১২ মে বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগা রায়ের নাতনি ঐশ্বর্যের সঙ্গে বিয়ে হবে তাঁর। আজ পটনার মৌর্য হোটেলে ছিল তাঁদের ‘সগাই’য়ের অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন বিহারের প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। সোস্যাল মিডিয়া টুইটারে লিখলেন ‘মিস ইউ পাপা’! প্রায় সাড়ে তিনশো রিটুইট এবং আড়াই হাজার লাইক পড়েছে। তবে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে খুশি যাদব পরিবার। যদিও লালুপ্রসাদের হাজির না থাকা কিছুটা হলেও ফিকে করেছে অনুষ্ঠানকে।
গত ডিসেম্বরে পশুখাদ্য মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পর থেকে জেলবন্দি লালুপ্রসাদ। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য রয়েছেন দিল্লির এইমসে। নতুন জীবনে প্রবেশ করার আগে তাই বাবাকে কাছে না পেয়ে স্বাভাবিক ভাবেই কিছুটা হলেও দুঃখ রয়েছে তেজপ্রতাপের। শুধু তেজপ্রতাপ নন, মা রাবড়ীদেবী এবং বড় দিদি মিস ভারতীও মনে করছেন লালুপ্রসাদ জেলের বাইরে থাকলে আর্শীবাদের অনুষ্ঠানের আনন্দ অন্যরকম হত। মিসা বলেন, ‘‘রাজনীতির কথা আজ বাদ দিন। বাবা অনুষ্ঠানে হাজির নেই এটা ভাবতে পারছি না। বাবা হাজির থাকলে এই অনুষ্ঠান অন্য রকম হত।’’
দেখুন ভিডিও:
আরও পড়ুন: আংটি বদল করলেন ঐশ্বর্য ও লালুপুত্র তেজপ্রতাপ, দেখুন ছবি
সগাই অনুষ্ঠানকে ঘিরে খুশি দুই পরিবারই। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগা রায়ের ছেলে ছপড়ার বাসিন্দা চন্দ্রিকা রায় আরজেডির দাপুটে নেতা এবং বিধায়ক। তাঁর মেয়ে ঐশ্বর্য রায় সোসিওলজিতে এমবিএ শেষ করে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। এ দিন সি-গ্রিন রঙের জরির কাজ করা লেহঙ্গা পড়েছিলেন। অন্য দিকে, গাঢ় নীল রঙের স্যুটে তেজপ্রতাপ হাজির হন। দুজনকে একে একে পরিবারের সকলে আর্শীর্বাদ করেন। একে অপরের সঙ্গে আংটি বদল করেন তেজপ্রতাপ-ঐশ্বর্য। মৌর্য হোটেলের অশোক হলে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল। কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু থেকে ফুল নিয়ে এসে সাজানো হয়েছিল। সগাই অনুষ্ঠানে পৌঁছানো রাবড়ী বলেন, ‘বাড়িতে বৌ আসছে, আমি আজ খুশি।’’ এ বার ছোটছেলে তেজস্বী যাদবের পালা কিনা জানতে চাইতেই হেসে ফেলেন তিনি।
এ দিন দুপুর নাগাদ লালুপ্রসাদ এবং চন্দ্রিকা রায়ের পরিবারের সদস্যেরা হোটেলে পৌঁছান। আগে থেকেই পুরোহিত হাজির ছিলেন। প্রায় দুশো অতিথিকে অনুষ্ঠানে হাজির হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। লালুপ্রসাদ না থাকায় কম অতিথি আমন্ত্রিত বলে জানিয়েছে পরিবার। আরজেডির অনেক জেলাস্তরের গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং বিধায়ক আমন্ত্রণ পাননি। তা নিয়েও বিস্তর টানাপোড়েন রয়েছে লালু পরিবারে। তবে লালুপ্রসাদের সমস্ত মেয়ে ও জামাই হাজির ছিলেন। ছিলেন তাঁদের ছেলেমেয়েরাও।