—প্রতীকী চিত্র।
মাদ্রাসাতেও রামায়ণের কাহিনি পড়ানো হবে। মাদ্রাসার সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে রামায়ণ। উত্তরাখণ্ডে এমনটাই জানিয়েছে ওয়াকফ বোর্ড। চলতি বছরে যে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হচ্ছে, তাতেই থাকবে রামায়ণ।
ওয়াকফ বোর্ডের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরাখণ্ডে তাদের অধীনে যে ক’টি মাদ্রাসা রয়েছে, সেখানে নতুন করে সাজানো হচ্ছে সিলেবাস। রামের কাহিনি সিলেবাসে ঢোকানো হচ্ছে। তবে রাজ্যের সমস্ত মাদ্রাসায় ওই সিলেবাস প্রযুক্ত হতে কিছুটা সময় লাগবে।
উত্তরাখণ্ডে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে মোট ১১৭টি মাদ্রাসা রয়েছে। তবে রামায়ণ-সহ নতুন সিলেবাস আপাতত রাজ্যের চারটি মাদ্রাসায় পড়ানো শুরু হচ্ছে। দেহরাদূন, হরিদ্বার, নৈনিতাল এবং উধম সিংহ নগরের মাদ্রাসায় প্রাথমিক ভাবে রামায়ণ পড়ানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বাকি মাদ্রাসায় এই সিলেবাস চালু করা হবে কিছু দিন পর।
কেন সব মাদ্রাসায় প্রথম থেকেই রামায়ণ পড়ানো সম্ভব হচ্ছে না?
ওয়াকফ বোর্ড জানিয়েছে, এই মুহূর্তে নতুন সিলেবাস পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত শিক্ষক তাদের হাতে নেই। আগামী দিনে রামায়ণ পড়ানোর জন্য নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। শীঘ্রই বাকি ১১৩টি মাদ্রাসাতেও নতুন সিলেবাস চালু করা যাবে বলে বোর্ড আশাবাদী।
উত্তরাখণ্ডের ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান শাদাব শম্স এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘আমরা রামায়ণের পাশাপাশি কোরানও পড়াব। লক্ষ্মণ তাঁর ভাইয়ের জন্য নিজের সব কিছু উজাড় করে দিয়েছিলেন। আমরা আমাদের ছাত্রদের সে কথা পড়াব। এই চারটি মাদ্রাসার জন্য আলাদা পোশাকবিধিও বেঁধে দেওয়া হবে।’’
চারটি মাদ্রাসায় নতুন প্রিন্সিপাল নিয়োগ করবে ওয়াকফ বোর্ড। তারা নতুন শিক্ষক নিয়োগের কাজ শুরু করবে। মাদ্রাসার জন্য এমন শিক্ষক নিয়োগ করা হবে, যাঁরা রামায়ণ পড়তে এবং পড়াতে স্বচ্ছন্দ।