বন্ধুর হাতে খুন হওয়া অভয়।
ফিল্মস্টার হতে চেয়েছিল ২১ বছরের যুবক। অনেক টাকা দরকার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে। বন্ধুকে অপহরণ করে সেই টাকা জোগাড় করার সিদ্ধান্ত নেয় তরুণ। ফিল্ম দেখেই অপহরণের ছক সাজায়। মুক্তিপণ না পেয়ে খুনও করে ফেলে বন্ধুকে।
এ যেন একটা গোটা সিনেমার চিত্রনাট্য। আসলে বাস্তবেই ঘটেছে এই ঘটনা। হায়দরাবাদে কিশোর খুন এবং অপহরণের পিছনে এমনই ঘটনা রয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ফিল্মস্টার হওয়ার স্বপ্ন পূরণ করতেই ১৫ বছরের অভয়কে অপহরণ করেছিল ধৃত সাই। বলছে পুলিশ।
হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার মহেন্দ্র রেড্ডি বলেন,‘‘অপহরণের অভিযোগে ধৃত সাই জেরায় জানিয়েছে যে, তার স্বপ্ন ছিল বড় ফিল্মস্টার হওয়ার। স্বপ্নপূরণ করার জন্য টাকা জোগাড় করতে একটা সিনেমা দেখে সে অপহরণের ছক কষে ফেলে। প্রায় ছ’মাস আগে থেকে সে অভয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে। একদিন হঠাৎ করেই অপহরণ করে অভয়ের অভিভাবকদের কাছে মুক্তিপণ চায় সে।’’
আরও পড়ুন:
মেরিন ড্রাইভে মহিলাদের সুরক্ষায় তিন কুকুর!
অভয় হায়দরাবাদের একটি স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত। গত ১৬ মার্চ স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পর শাহ ইনায়াত গঞ্জে তার বাড়িতে ফিরে এসেই কিছু খাবার কিনে আনতে সে বেরিয়ে যায়। বাড়ি থেকে খুব একটা দূরেও নয় সেই দোকানটা। কিন্তু সেখান থেকেই অভয়কে তুলে নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। অনেক ক্ষণ পরেও ছেলে বাড়ি ফিরছে না দেখে অভয়ের বাবা রাজকুমার শাহ ইনায়াত গঞ্জ থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। এর পর রাত দশটা নাগাদ হঠাৎই অভয়ের বাবাকে অপহরণকারীরা টেলিফোন করে জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ছেলের জন্য তাঁকে মুক্তিপণ বাবদ ১০ কোটি টাকা দিতে হবে। আর সেই টাকাটা দিতে না পারলে পরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খুন করে ফেলা হবে অভয়কে। পরে একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে একটি কার্টনের ভিতরে অভয়ের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।