বাতাসবাড়ি। লীলা মজুমদারের গল্প নয়। বাতাসের মধ্যেই ভাসমান একটা আস্ত একটা রেস্তরাঁ। এই রেস্তরাঁ রয়েছে এ দেশেই। যাকে হ্যাঙ্গিং স্কাই ডাইনিংও বলা হচ্ছে।
বেঙ্গালুরুতে রয়েছে ২২ আসনের এই রেস্তরাঁ। ক্রেনে করে আপনাকে তুলে নিয়ে ডেকের মতো ওই রেস্তরাঁয় বসিয়ে দেওয়া হবে। তারপর?
তারপরে ঘুরতে থাকবে টেবিল-সহ গোটা রেস্তরাঁর অংশ, যাতে প্রত্যেকেই ভালভাবে আকাশের মধ্যে ভেসে থাকাটা উপভোগ করতে পারেন।
গ্রিলড চিকেন, হার্ব রাইস, মকটেল, ফ্রুট স্যালাড, ক্রকেটস কী নেই এতে। রয়েছে বিভিন্ন রকমের স্ন্যাকসও।
মকটেল সেশনের খরচ জন প্রতি প্রায় ৪ হাজার টাকা। আর ডিনারের খরচ প্রায় সাত হাজার টাকা।
প্রায় ৪০টি দেশে রয়েছে এই ধরনের স্কাই ডাইনিংয়ের ব্যবস্থা। নিরাপত্তা একটা বড় প্রশ্ন এখানে। তাই সিটবেল্ট পরেই খাবার খেতে হয় খদ্দেরদের। তিনটি বেল্ট রয়েছে, এগুলি চেয়ারের সঙ্গে বাঁধাও থাকবে।
বেঙ্গালুরুর নাগাওয়াড়া লেক, মান্যতা টেক পার্ক ও বেঙ্গালুরু শহরটাকে দিব্যি দেখা যাবে এই রেস্তরাঁ থেকে।
জার্মানির এক বিশেষজ্ঞ দল এই রেস্তরাঁর নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন।
ক্রেনে করে উপরে যাওয়ার আগে একটি সেফটি ভিডিয়োতে খদ্দেরদের গোটা ব্যবস্থা, খাবার অর্ডার দেওয়া ইত্যাদি বুঝিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে।
এমারজেন্সি ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থাও রয়েছে। সে ক্ষেত্রে নামিয়ে আনা হতে পারে রেস্তরাঁর অতিথি, চেয়ার টেবিল-সহ খাবারদাবার। নিচেও রয়েছে খাবারের ব্যবস্থা।
মকটেল সেশনের স্থায়ীত্ব আধ ঘণ্টা, অন্যদিকে ডিনার সেশনের স্থায়ীত্ব এক ঘণ্টা।