ব্যপম কাণ্ডে জড়িত বন আধিকারিকের রহস্যমৃত্যু ওড়িশায়

ব্যপম কাণ্ডের সাক্ষী নম্রতা দামোরের মতোই ট্রেন লাইন থেকে উদ্ধার হল এক অবসরপ্রাপ্ত বন আধিকারিকের দেহ। তবে এ বার মধ্যপ্রদেশে নয় ওড়িশায় উদ্ধার হয় দেহ। রহস্যময় মৃত্যু ঘিরে নতুন করে সামনে এল ব্যপম।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:৩৫
Share:

ব্যপম কাণ্ডের সাক্ষী নম্রতা দামোরের মতোই ট্রেন লাইন থেকে উদ্ধার হল এক অবসরপ্রাপ্ত বন আধিকারিকের দেহ। তবে এ বার মধ্যপ্রদেশে নয় ওড়িশায় উদ্ধার হয় দেহ। রহস্যময় মৃত্যু ঘিরে নতুন করে সামনে এল ব্যপম।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ওড়িশার ঝাড়সুগুদা থেকে উদ্ধার হয় বিজয় বাহাদুর নামে এক অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস অফিসারের দেহ। বৃহস্পতিবার ট্রেন লাইন থেকে উদ্ধার হয় ওই আধিকারিকের দেহ।

প্রাথমিক তদন্তে ঝাড়সুগুদার রেল পুলিশের অনুমান, চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। যদিও পোস্ট মর্টেমের রিপোর্ট পাওয়া এখনও বাকি। রেল পুলিশের দাবি কিন্তু মানতে নারাজ বিজয় বাহাদুরের পরিবার। ওই আধিকারিকের মৃত্যু অসাবধানবশত ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে নয়, এর পিছনে কোনও রহস্য আছে বলে সন্দেহ তাঁর স্ত্রীর।

Advertisement

কেন সন্দেহ করছেন মৃতের স্ত্রী?

মৃতের স্ত্রী নীতা সিংহের দাবি, মধ্যপ্রদেশের ব্যবসায়িক পরীক্ষা মণ্ডল বা ব্যপম প্রবেশিকা পরীক্ষার মধ্যে দু’টি পরীক্ষায় অবসার্ভরের দায়িত্ব পালন করেছেন ১৯৭৮ সালের আইএফএস বিজয় বাহাদুর। সম্প্রতি ১৯৭৮ সালের আইএফএস আধিকারিকদের রি-ইউনিয়নে যোগ দিতে পুরী গিয়েছিলেন তিনি। ভোপালে ফেরার পথে ট্রেন লাইন থেকে উদ্ধার তাঁর দেহ। নীতা দেবীর অভিযোগ, রায়গড়ের কাছ থেকে নিখোঁজ হন বিজয় বাহাদুর। ঝাড়সুগুদার থেকে ৭০ কিমি দূরে রায়গড়।

তাঁর স্ত্রীর প্রশ্ন—

১: যদি ট্রেনে করেই ভোপালে ফিরছিলেন, তবে ট্রেন ছেড়ে কী করে এবং কেন রায়গড়ে পৌঁছলেন বিজয় বাহাদুর?

২: ব্যপম প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করেই মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পান নম্রতা দামোর নামে এক ছাত্রী। বিজয় বাহাদুরের মতোই ২০১২ সালে উজ্জয়িনীর রেল লাইনের পাশ থেকে উদ্ধার হয় ওই ছাত্রীর দেহ। প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে ওই তরুণীকে। কিন্তু পরে অন্য একটি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী জানানো হয়, আত্মহত্যাই করেছেন নম্রতা। এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় রিপোর্টের ভিত্তিতেই বন্ধ করে দেওয়া হয় ওই তরুণীর মৃত্যুর তদন্ত। তিন বছর বাদে ব্যপম দুর্নীতির তদন্তে নেমে হত্যা মামলা দায়ের করে সিবিআই। তবে কী নম্রতার মতোই খুন করা হয়েছে বিজয় বাহাদুরকে?

৩: এসি কামরার খোলা দরজা বন্ধ করতে যান তিনি, তার পর আর কেউ দেখেননি ওই আধিকারিককে। তাই পড়ে গিয়ে নয়, কেউ ধাক্কা দিয়ে তাঁকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর।

তাই এই সব প্রশ্ন ঘিরেই ফের এক বার সরগরম হয়ে উঠেছে সারা দেশ। এখন দেখার এই মৃত্যুর জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement