নির্বাচন কমিশনের ইভিএম নিয়ে বৈঠকে ভেঙে গেল বিরোধী ঐক্য।
কংগ্রেস-সিপিএম যখন ইভিএমে ভোটগ্রহণ চালু রাখার পক্ষে, তখন তৃণমূল, সিপিআই, আরজেডি, পিএমকের মতো দলগুলি সরব হল ব্যালট প্রথা ফেরানো নিয়ে। তবে কাগজের স্লিপ বেরোনো ‘ভিভিপিএটি’ যন্ত্র বসানোর দাবিও তুললেন ইভিএম-পন্থীরা। যা মেনে নিয়ে নির্বাচন কমিশন জানাল, ভবিষ্যতে সব ভোটেই ব্যবহার হবে ‘ভিভিপিএটি’। তবে কমিশন আগে বলেছিল, ইভিএম হ্যাক করার প্রতিযোগিতার দিনক্ষণ আজই ঘোষণা হবে। যা হয়নি। এর পর টুইটারে অরবিন্দ কেজরীবাল লেখেন, ‘হ্যাকাথন-এর থেকে পিছিয়ে গেল কমিশন। খুবই দুঃখজনক।’ সূত্রের খবর, শীঘ্রই ওই তারিখ ঘোষণা হবে।
আপ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া বৈঠকের পরে জানান, ব্যালট বা ইভিএম— কোনওটিতেই তাঁদের আপত্তি নেই। তবে তাঁরা দেখিয়ে দেবেন, ইভিএম এখনও হ্যাক করা সম্ভব। ভিভিপিএটি-র ক্ষেত্রে তাঁদের প্রস্তাব, ২৫ শতাংশ আসনের ক্ষেত্রে ভোটযন্ত্রের মেমরি ও কাগজের স্লিপ মিলিয়ে দেখা হোক।
বিএসপি নেতা সতীশ মিশ্রের দাবি ছিল, ভিভিপিএটি থেকে যেন দু’টি স্লিপ বার হয়। একটি কমিশনের কাছে, অন্যটি ভোটারের কাছে থাকবে। কিন্তু এতে গোপনীয়তা রক্ষা কঠিন হবে বলে প্রস্তাব খারিজ করেছে কমিশন। তৃণমূলের তরফে মুকুল রায় বলেন, ‘‘ইভিএমে কারচুপি সম্ভব। তাই ব্যালট ফিরে আসুক।’’ আপ, তৃণমূল ও সিপিএম অবশ্য একটি বিষয়ে একমত— সরকারি খরচে ভোট করা। সে কথা আজ কমিশনকেও জানান প্রতিনিধিরা। বৈঠক প্রসঙ্গে পরে বিজেপির ভূপেন্দ্র যাদব বলেন, ‘‘যারা হেরে গিয়েছে, তারাই এখন কাঁদুনি গাইছে।’’