বৃন্দাবনের ঠাকুর বাকেবিহারি মন্দিরে ভক্তদের ‘ভদ্র’ পোশাক পরে আসার নিদান কর্তৃপক্ষের। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বৃন্দাবনের বাঁকে বিহারি মন্দিরে ভক্তদের পোশাকবিধি নিয়ে নতুন নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। মিনি স্কার্ট বা ছেঁড়া জিন্স পরে মন্দিরে প্রবেশ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। ভক্তদের মন্দিরে ‘ভদ্র’ পোশাক পরে আসার পরামর্শও দিয়েছেন তাঁরা।
বাঁকে বিহারি মন্দির বৃন্দাবনে অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতি বছর ডিসেম্বর থেকে ইংরেজি নববর্ষের সময় পর্যন্ত এই মন্দিরে বাড়তি ভিড় হয়। বহু মানুষ পুণ্যলাভের আশায় মন্দিরে যান। কিন্তু বাইরে থেকে, বিশেষত ভিন্রাজ্য থেকে আসা ভক্তদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, অনেকেই সাধারণ পোশাক পরে মন্দিরে চলে আসছেন। জিন্স বা ছোট স্কার্টও পরছেন কেউ কেউ। এতে মন্দিরের পবিত্রতা এবং মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে তাঁদের দাবি।
ভক্তদের উদ্দেশে বাঁকে বিহারি মন্দির কর্তৃপক্ষের বিবৃতি, ‘‘মিনি স্কার্ট, ছেঁড়া জিন্স, হাফ প্যান্ট বা রাতপোশাকের মতো জামাকাপড় মন্দিরের পক্ষে উপযুক্ত নয়। এতে জায়গাটির পবিত্রতা এবং মর্যাদা নষ্ট হয়। আমাদের অনুরোধ, সকলে ভদ্র পোশাক পরে মন্দিরে আসবেন।’’ এই বার্তা দিয়ে বৃন্দাবনের রাস্তায় একাধিক ব্যানার টাঙিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। সমাজমাধ্যমেও এই সংক্রান্ত প্রচার করা হয়েছে।
বাঁকে বিহারি মন্দিরের ম্যানেজার মুনিশ শর্মা জানিয়েছেন, তাঁরা মন্দিরের সাংস্কৃতিক মর্যাদারক্ষায় আগ্রহী। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা বার বার দেখেছি, অনেক ভক্ত মন্দিরে সাধারণ জিন্স বা টি-শার্ট পরে ঢুকে পড়ছেন। বিশেষত, বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের ক্ষেত্রে এটা বেশি দেখা যাচ্ছে। আমরা ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে সম্মান করি। মন্দিরে সেটা অনুসরণ করতে হবে।’’
বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারি মন্দিরের জনপ্রিয়তা বরাবরই বেশি। এই মন্দিরে কৃষ্ণ এবং রাধার সম্মিলিত রূপ পূজিত হয়। আগে ‘কুঞ্জ বিহারী’ নামে এই রূপের আরাধনা করা হত। পরে ১৮৬৪ সালে বৃন্দাবনে বাঁকে বিহারী মন্দির স্থাপিত হয়।