বিশাখাপত্তনমের এই কারখানা থেকে গ্যাস লিক হয়। ছবি: পিটিআই
বিশাখাপত্তনমের কারখানায় গ্যাস লিকের কারণে কারখানার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার ব্যাসার্ধ এলাকার জনবসতি খালি করে দেওয়া হয়েছে। কারখানা থেকে লিক হওয়া স্টাইরিন গ্যাসের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন প্রায় এক হাজার মানুষ। কিন্তু শুধুই কি অসুস্থ? সুস্থ হওয়ার পরেও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে তাঁদের কি অন্য কোনও শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে? সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিশেষজ্ঞরা। এই গ্যাসের প্রকৃতিও সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
স্টাইরিন গ্যাসের ব্যবহার মূলত প্লাস্টিক তৈরির কারখানায়। স্টাইরিন তরল অবস্থায় সুগন্ধযুক্ত ও বর্ণহীন। শক্ত ও স্বচ্ছ পলিস্টাইরিন বা প্লাস্টিক, রেজিন ইত্যাদি তৈরিতে প্রয়োজন হয় এই স্টাইরিন। মার্কিন এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি (ইপিএ)-র মতে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এই গ্যাসের সংস্পর্শে এলে গলা ও চোখ জ্বালা করতে থাকে। এছাড়া শ্বাসনালী ও খাদ্যনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব হতে পারে আরও মারাত্মক, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, এই গ্যাস শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তার জেরে মাথা ব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, কানে কম শোনার মতো রোগের শিকার হতে পারেন মানুষ। কিন্তু তার চেয়েও মারাত্মক প্রভাবে পুরো স্নায়ুতন্ত্র বিকল পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ট্যাঙ্কের দেখভাল হয়নি, গ্যাস লিকের ঘটনায় অভিযোগ পুলিশের, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বলছে সংস্থা
আরও পড়ুন: বিশাখাপত্তনমে গ্যাস লিকের ঘটনায় মৃত ১১, অসুস্থ প্রায় ১০০০
আবার বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে, এই গ্যাসের প্রভাবে লিউকোমিয়া বা রক্তের ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। যদিও এই বিষয়টি এখনও প্রমাণিত নয়। কারণ এই ধরনের গ্যাস লিকের ঘটনা বিরল এবং কম তথ্য মেলায় তা প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি।