ত্রিশূরে তৈরি হল সাড়ে ছয় কিলোমিটার লম্বা কেক। ছবি: এএফপি।
চিন বানিয়েছিল ‘মাত্র’ ৩.২ কিলোমিটার লম্বা কেক। ‘মাত্র’ এই কারণে, যে কেক এবার কেরলের একদল কেক প্রস্তুতকার বানালেন তাতে চিনের ৩.২ কিলোমিটারে কেকটিকে বামন মনে হবে। এখন শুধু গিনস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ঘোষণার অপেক্ষা বলে জানিয়েছেন এই কেক তৈরির সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা।
বুধবার কেরলের ত্রিশূরে দীর্ঘতম কেক তৈরির নতুন রেকর্ড গড়ার লক্ষ্যে নেমেছিলেন কেরলের বেকার্স অ্যাসোসিয়েশন। ১৫০০ কেক প্রস্তুতকারক কর্মী প্রায় চার ঘণ্টার পরিশ্রমে বানিয়ে ফেলেন ২৭ হাজার কেজির এই কেক। যেটি চওড়া ছিল ১০ সেন্টিমিটার। আর লম্বায় ছিল রেকর্ড ৬.৫ কিলোমিটার।
সাড়ে ছয় কিলোমিটার এই কেকটি তৈরির জন্য ত্রিশূরে একটি রাস্তায় কয়েক হাজার টেবিল জড়ো করা হয়। কেক প্রস্তুতকারক কর্মীরা প্রথাগত সাদা টুপি ও সাদা পোশাক পরেছিলেন। তারপর শুরু হয় রেকর্ড গড়ার কর্মযজ্ঞ। ১২ হাজার কেজি ময়দা ও চিনি ব্যবহার করা হয়। ভ্যানিলা ফ্লেভারের কেকের উপর দেওয়া হয় চকলেটের আস্তরণ। একটু একটু করে গড়ে ওঠে সাড়ে ছয় কিলোমিটার লম্বা কেক।
আরও পড়ুন: ছাই-এর কম্বলে ঢেকে যাচ্ছে ফিলিপিন্সের ঘর-বাড়ি-ক্ষেত-খামার
কেরলের বেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি জেনারেল নৌশাদ জানিয়েছেন, এই কর্মকাণ্ডের সময় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন। এর আগে ২০১৮ সালে ৩.২ কিলোমিটার লম্বা কেকটি তৈরি হয়েছিল চিনের জিক্সি-তে।
আরও পড়ুন: ৩১ হাজারের টিভি মাত্র আড়াই হাজারে, সস্তায় টিভি কিনতে বিশাল ভিড় দোকানে
নৌশাদ বলেছেন, “আমরা আমাদের নৈপুণ্য দেখাতে চেয়েছিলাম গোটা বিশ্বকে, সেটা আমরা করে দেখিয়েছি।” একই সঙ্গে তিনিবলেন, “রেকর্ড গড়তে গিয়ে আমরা স্বাদ বা হাইজিনের কথা ভুলে যাইনি, নির্দিষ্ট মান ধরে রেখেছি।”
দেখুন কেক তৈরির ভিডিয়ো: