Viral

‘উচ্চবর্ণের’ পাত্রে জল খাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের নোটিস ‘নিম্নবর্ণের’ শিক্ষককে

বছর দুয়েক আগে ওই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কানহাইয়ালাল বারাইয়া (৪৬)। চলতি বছরে জুলাই মাসের ৩ তারিখ প্রধান শিক্ষক মানসঙ্গ রাঠৌর একটি নোটিস ধরান তাঁকে। অভিযোগ, সেখানে লেখা ছিল, ‘আপনি বাল্মীকি সম্প্রদায়ের মানুষ। উচ্চবর্ণের শিক্ষকদের জন্য রাখা পাত্র থেকে জল পান করবেন না’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

আমদাবাদ শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১২:৩৬
Share:

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

দেশ মঙ্গলে পৌঁছে গিয়েছে, কিন্তু এখনও কিছু মানুষ ‘উচ্চবর্ণ-নিম্নবর্ণ’-এর অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ফের এমনই এক ঘটনা সামনে এল গুজরাতে। আর যেখানে মানুষ তৈরির কাজ হয় সেখানেই এমন ঘটনা সামনে এল। গুজরাতের একটি স্কুলে এক তথাকথিত ‘নিম্নবর্ণের’ শিক্ষককে নোটিস ধরান প্রধান শিক্ষক। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি ‘উচ্চবর্ণের’ শিক্ষকদের পাত্র জল খেয়েছেন।

Advertisement

বছর দুয়েক আগে ওই স্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন কানহাইয়ালাল বারাইয়া (৪৬)। চলতি বছরে জুলাই মাসের ৩ তারিখ প্রধান শিক্ষক মানসঙ্গ রাঠৌর একটি নোটিস ধরান তাঁকে। অভিযোগ, সেখানে লেখা ছিল, ‘আপনি বাল্মীকি সম্প্রদায়ের মানুষ। উচ্চবর্ণের শিক্ষকদের জন্য রাখা পাত্র থেকে জল পান করবেন না’।

কানহাইলাল বারাইয়া এই নোটিস পাওয়ার কিছুদিন পর সিদ্ধান্ত নেন বিষয়টি নিয়ে তিনি আইনের দ্বারস্থ হবেন। সেই মতো ১৪ অগস্ট চোটিলা থানায় এফআইআর দায়ের করেন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। বছর দু’য়েক আগে এই স্কুলে যোগ দেওয়ার পর থেকেই থেকেই প্রধান শিক্ষক তাঁর বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু পড়ুয়াদের কথা ভেবে তিনি চুপ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কানহাইয়ালাল।

Advertisement

আরও পড়ুন : দুধের শিশুকে গ্রেফতারের ‘হুমকি’ পুলিশ বাবার! তীব্র প্রতিবাদ ‘অভিযুক্ত’-র!

আরও পড়ুন : ভারতে রোলস রয়েস কালিনানের প্রথম মালিক মুকেশ অম্বানী, দেখে নিন এই গাড়ির দাম, ফিচার

কানহাইয়ালাল তাঁর অভিযোগপত্রে আরও জানিয়েছেন, স্কুলে প্রধান শিক্ষক দু’টি আলাদা জলের পাত্রের ব্যবস্থা করেন। তিনি যেহেতু বাল্মীকি সম্প্রদায়ের, তাই তাঁর জন্য একটি আলাদা পাত্র। এবং বাকি তিন শিক্ষক, যাঁরা কোলি পটেল ও দরবার সম্প্রদায়ের তাঁদের জন্য আলাদা একটি।

থানায় অভিযোগ করার পরও পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি। উল্টে কানহাইয়ালালকে কটাক্ষের মুখে পড়ত হয় বলে অভিযোগ। তাই শেষ পর্যন্ত গত ২৮ অগস্ট তাঁকে অন্য সরকারি স্কুলে বদলি করে দেওয়া হয়। কানহাইয়ালালের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement