প্রতীকী চিত্র।
বাড়িতে বাবার কাছে লুডো খেলায় বার বার হার। আর তার থেকেই আশান্তি। সেই অশান্তি শেষ পর্যন্ত আদালতে গড়াবে এমনটা কখনও কেউ ভেবেছেন? এমন কি ওই যুবতীর মন খারাপ এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে যে তাঁকে পারিবারিক আদালতের পরামর্শদাতার কাউন্সিলিংয়ের সামনে বসাতে হয়। উত্তর প্রদেশে ভোপালে এক পরিবারের এমনই কাহিনি এখন প্রতিবেশীদের কাছে চর্চার বিষয়।
করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল, কলেজ বন্ধ। সবাই যতটা সম্ভব বাড়িতেই থাকার চেষ্টা করছেন। আর সময় কাটাতে নিজেদের মতো করে উপায়ও খুঁজে নিচ্ছেন। কিন্তু সেই এক সঙ্গে সময় কাটানোই যেন কাল হল এই পরিবারের। লকডাউন পরিস্থিতিতে তিন বোন তাঁদের বাবার সঙ্গে লুডো খেলতে শুরু করেন। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছোট মেয়ের ঘুঁটি কেটে তাঁকে হারিয়ে দিতেন বাবা। বার বার এই হার সহজ ভাবে নিতে পারেননি বছর চব্বিশের ছোট মেয়ে। হার মেনে নিতে না পেরে শেষ পর্যন্ত পারিবারিক আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘‘তিনি কখনও আশা করেননি বাবা বার বার তাঁকে লুডো খেলায় হারাবেন। এটা বিশ্বাস ভঙ্গের পর্যায় পড়ে।’’
পারিবারিক আদালতের পরামর্শদাতা সরতি রজনি সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘‘এখনকার দিনে অনেক বাচ্চা ছেলে মেয়েই পরাজয়কে সহজ ভাবে নিতে পারে না। এই ধরনের ঘটনা তারই ফল।’’ সেই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘এখনকার ছেলে মেয়েদের শিখতে হবে জেতার পথে হারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। হারের মধ্যে দিয়েই জেতার কৌশল শেখা যায়।’’
আরও পড়ুন: মহিষের সিং বনাম সিংহ, অসমযুদ্ধের অবিশ্বাস্য ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: শিশুকে বাঁচাতে বাইক থেকে ঝাঁপ, দেখুন মৃত্যুর ঝুঁকি উপেক্ষা করা যুবকের সাহস
সরিতা জানিয়েছেন, এই যুবতী বাবার কাছে হারতে হারতে এমন মানসিক পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে তিনি তাঁর বাবাকে একটা সময়ে ‘বাবা’ বলে ডাকতেও অস্বীকার করেন। অগস্ট থেকে তার চার বার কাউন্সিলিং হয়েছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক।