প্রতীকী চিত্র।
অনেক অপরাধীই নিজেদের আড়াল করতে শিশুদের অন্ধকারে ঠেলে দিতেও পিছ পা হয় না। চেন্নাইয়ে এক স্কুল পড়ুয়ার সঙ্গেও এমনটা হতে যাচ্ছিল। দুষ্কৃতীদের পাল্লায় পড়ে সে অন্ধকারের পথে পা বাড়িয়েও ফেলেছিল। কিন্তু এক পুলিশ কর্মীর সহৃদয়তার জন্য শেষ পর্যন্ত বেঁচে যায় কিশোরটির জীবন। অন্য কোনও পুলিশ কর্মীর হাতে পড়লে হয় তো তার জীবনটা শেষও হয়ে যেতে পারত। কিন্তু এই ‘পুলিশ কাকু’ তাকে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনেন।
চেন্নাইয়ের বাসিন্দা বছর তেরোর এই স্কুল পড়ুয়াকে স্কুলের সময় বাইরে ঘুরে বেড়াতে দেখে দুই মোবাইল ছিনতাইবাজ। তারা ওই কিশোরেরই প্রতিবেশী। তারা ছেলেটিকেও নিজেদের সঙ্গে ভিড়িয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটে। তাদের চিন্তা ছিল, এই বয়সের এক স্কুল পড়ুয়া তাদের সঙ্গে থাকলে কেউ সন্দেহও করবে না। আবার ধরা পড়ে গেলে বাচ্চাটির দোহাই দিয়ে ছাড়াও পেয়ে যেতে পারে তারা।
স্কুল পড়ুয়াটির অনলাইন ক্লাসের জন্য একটি মোবাইলের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তার বাবা কাজ করেন একটি বিস্কুটের দোকানে, মা গৃহবধূ। ফলে দিন আনি দিন খাইয়ের সংসারে ছেলের অনলাইন ক্লাসের জন্য মোবাইল আর কেনা সম্ভব হয়নি কিশোরের বাবার পক্ষে। সব মিলিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে দুই দুষ্কৃতী। পরিকল্পনা করে স্কুল পড়ুয়াটিকে মোবাইল ফোনের লোভ দেখিয়ে তাদের দলে ভিড়িয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: যুদ্ধে যাবেন রাজকন্যে! কঠোর সামরিক প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন প্রিন্সেস অব বেলজিয়াম
ওই দুই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে সম্প্রতি মোবাইল চুরি করতে গিয়ে স্কুল পড়ুয়াটি পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়। এর পর তার জীবনটাও শেষ হয়ে যেতে পারত, জায়গা হতে পারত কোনও জুভেনাইল হোমে। অপরাধ জগতেই হারিয়ে যেতে পারত তার ভবিষ্যৎ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
আরও পড়ুন:১ লাখ ২০ হাজার বছরের পুরনো মানুষের পায়ের ছাপ আরবের শুকিয়ে যাওয়া হ্রদে
ওই পুলিশ কর্মী স্কুল পড়ুয়ার কাহিনি শোনেন। শুনে সিদ্ধান্ত নেন, শিশুটিকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেবেন যাতে তাকে পড়াশোনা ছেড়ে এমন অন্যায়ের পথে পা না বাড়াতে হয়। সেই মতো স্কুল পড়ুয়াকে একটি মোবাইল কিনে দেন। এই ‘পুলিশ কাকু’-র জন্যই বেঁচে যায় একটি শিশুর ভবিষ্যৎ।