এই পোর্সাটি আটক করেছিল পুলিশ। ছবি: টুইটার থেকে নেওয়া।
গুজরাতের সেই ‘পোর্সা ৯১১’-এর কথা মনে আছে, যেটি নভেম্বর মাসে আটক করেছিল পুলিশ। প্রথমে প্রায় ১০ লাখ টাকার জমিমানা ধার্য করা হয়। সেই পোর্সা ফিরে পেতে গাড়ির মালিককে শেষ পর্যন্ত গুনতে হল প্রায় ২৮ লাখ টাকা। আমদাবাদ পুলিশের ভেরিফায়েড টুইটার হ্যান্ডলে পুরনো পোস্ট ও জরিমানা দেওয়া চালানের ছবি পোস্ট করা হয়েছে।
নভেম্বরের ২৮ তারিখ আমদাবাদের হ্যামলেট ক্রসরোডে গাড়িটিকে আটকান কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কর্মী। গাড়িতে কোনও নম্বর প্লেট ছিল না। এমনকি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাওয়া হয়েও কিছুই দেখাতে পারেননি গাড়ির আরোহীরা। তখনই চালান ধরিয়ে গাড়িটি নিয়ে যায় পুলিশ।
বাজেয়াপ্ত করার সময় গাড়ির মালিককে ধরানো হয় ন’লাখ ৮০ হাজার টাকার জরিমানার রসিদ। সেই খবর তখন সংবাদমাধ্যম থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রচুর মানুষ সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে মজাও করেন।
জরিমানার প্রায় দেড় মাস পর টাকা দিয়ে গাড়িটি ছাড়িয়ে নিয়ে গেলেন তার মালিক রঞ্জিত দেশাই।প্রথমে তিনি ন’ লাখ ৮০ হাজার টাকার জরিমানা দিতে যানআমদাবাদ রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসে। কিন্তু সেখানকার অফিসাররা রেকর্ড খুলে দেখেন, জরিমানার, তার সুদ, বকেয়া কর সব মিলিয়ে সেই অর্থ দাঁড়িয়েছে ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। জরিমানার এই টাকা মেটানোর পরগাড়িটি ফিরে পান রঞ্জিত।
আরও পড়ুন: চার তলার উপর সঙ্কীর্ণ অংশে হাঁটছে একলা শিশু, দেখুন শেষে কী হল!
আগের টুইটের সঙ্গে নতুন একটি টুইট করে আমদাবাদ পুলিশ। সেখানে চালানের ছবি পোস্ট করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, এটি দেশের সর্বোচ্চ ট্রাফিক জরিমানাগুলির মধ্যে অন্যতম।
দেখুন সেই টুইট: