Madhyapradesh Bypolls

উপনির্বাচনে হিংসা সিন্ধিয়ার গড়ে

মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

Advertisement

ভোপাল সংবাদ

সংস্থা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪২
Share:

মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচনে লাইনে দাড়িয়ে ভোটাররা। ছবি: পিটিআই।

উপনির্বাচনে হিংসার ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের কয়েকটি জায়গায়। তবে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত কিংবা কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলিতে উপনির্বাচন আজ শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়েছে।

Advertisement

মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলায় কংগ্রেস ও বিজেপি কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। জাতভারা এলাকায় চলেছে গুলি। আহত হয়েছেন এক ব্যক্তি। ভিন্দের জেলাশাসক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা গ্রামের একটি বুথের কাছেও গুলি চলার খবর পেয়েছেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

মধ্যপ্রদেশে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার অনুগামী ২৫ জন বিধায়কের ইস্তফা এবং অন্য তিন বিধায়কের মৃত্যুর পরে রাজ্যের ২৮টি কেন্দ্রে উপনির্বাচন ছিল আজ। এই ভোটের উপর বিজেপির সরকারের অস্বিত্ব অনেকটাই নির্ভর করছে। তাই ভোটকে কেন্দ্র করে শুরু থেকেই ছিল উত্তেজনা। উপনির্বাচনে অধিকাংশ কেন্দ্রগুলিই চম্বল এলাকায়। সেখান থেকেই হিংসার খবর এসেছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতেও কেন্দ্রগুলিতে গড়ে প্রায় ৬৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। বিজেপি নেতা সিন্ধিয়া গ্বালিয়র জেলায় ভোট দিয়েছেন। দলের ভোট ব্যবস্থা পরিচালনা করতে ভোপালে বিজেপি দফতরে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান। ভোপালের কংগ্রেস দফতরে এসে ভোটের তদারকি করেন দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ ও দিগ্বিজয় সিংহ।

Advertisement

হাথরসে দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যা, তার পরেও উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর অত্যাচারের একাধিক ঘটনা দেশ জুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। এই পরিস্থিতিতেই আজ রাজ্যের সাতটি বিধানসভা

কেন্দ্রে ভোট হয়েছে। এর মধ্যে ছ’টিই বিজেপির দখলে ছিল, একটি সমাজবাদী পার্টির। ভোটের আগেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ টুইট করেন, ‘করোনা হারবে, জয়ী হবে গণতন্ত্র’। সমাজবাদী পার্টিও আজ টুইট করে বলেছে, ‘‘মহিলাদের নিরাপত্তাহীনতা, কৃষকের দুর্দশা, শ্রমিকের কাজ না পাওয়ার জন্য যাঁরা দায়ী, সেই শাসককে আজকের ভোটে জবাব দিতে হবে।’’

ভোট ছিল গুজরাতের ৮টি বিধানসভা কেন্দ্রেও। জুনে রাজ্যসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের কয়েকজন বিধায়ক ইস্তফা দেওয়ায় উপনির্বাচন হচ্ছে মোদীর রাজ্যে। এই বিধায়কদের মধ্যে পাঁচজন বিজেপিতে যোগ দিয়ে পুরনো আসনেই প্রার্থী হয়েছেন। গুজরাতের কারজানে ভোটারদের আর্থিক প্রলোভন দেওয়ার অভিযোগে আজ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, এর পিছনে রয়েছেন কংগ্রেসের এক কর্মী। আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ওই এলাকারই দু’টি ভিডিয়োতে ভোটারদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। নির্বাচন কমিশন গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement