Citizenship Amendment Act

‘মেরে ফেল সবক’টাকে,’ শুনেই ট্রিগারে চাপ, যোগী-রাজ্যে পুলিশের গুলি চালানোর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে

গুলি চালানোর কথা যদিও শুরু থেকেই অস্বীকার করে এসেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লখনউ শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৩৩
Share:

বন্দুক হাতে পুলিশ। ছবি: ভিডিয়ো গ্র্যাব।

মোটরবাইকের আগুন থিতিয়ে এসেছে খানিকটা। তবে দাউ দাউ করে জ্বলছে দু’টি গাড়ি। উল্টো দিক থেকে তখনও ইটের টুকরো এসে পড়ছে রাস্তায়। সেফটি জ্যাকেট ও হেলমেট পড়ে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ফাটানো হচ্ছে কাঁদানে গ্যাসের সেল। তার মধ্যেই বন্দুকের ‘সেফটি ক্যাচ’ খুলে সামনের দিকে ছুটে গেলেন এক অফিসার। পিছন থাকা পুলিশদের মধ্যে থেকে তখন উড়ে আসছে, ‘‘মেরে ফেল সবক’টাকে।’’ সে কথা কানে যেতেই ট্রিগারে চাপ দিলেন তিনি। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিক্ষোভে মধ্যে এক দিকে গুলি চালানোর কথা যখন উড়িয়ে দিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, ঠিক সেইসময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিয়োয় তাদের এমনই রণংদেহি মূর্তি ধরা পড়ল।

Advertisement

শনিবার কানপুরে বিক্ষোভ চলাকালীন ওই ভিডিয়োটি তোলা হয় বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে সেটি। তার জেরে যোগীর রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

এই ভিডিয়োই ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

সিএএ এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে গত তিন ধরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ গোটা উত্তরপ্রদেশে। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে, যার মধ্যে রয়েছে ৮ বছরের শিশুও। পুলিশের গুলিতেই ওই ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও তা অস্বীকার করেছে যোগীর রাজ্যের পুলিশ। বিক্ষোভকারীরাই বন্দুক হাতে মিছিলে নেমেছিল বলে অভিযোগ তাদের।

রাজ্যের ডিজি ও পি সিংহ সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘সবক’টি মৃত্যুই গুলি-বিনিময়ের মধ্যে পড়ে হয়েছে। ময়নাতদন্ত হলেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। আমাদের গুলিতে কেউ মারা গেলে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করিয়ে ব্যবস্থা নিতাম।’’ সারা রাজ্যে বিক্ষোভের এলাকা থেকে ৪০৫টি কার্তুজের খোল মিলেছে বলে দাবি করেন আইজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রবীণ কুমার।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement