দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিলাসবহুল গাড়ি। —ফাইল চিত্র ।
পুণের পোর্শেকাণ্ডে নিহতদের পরিবার যেমন আতঙ্কিত, তেমনই ভীত অভিযুক্ত কিশোরও। শুক্রবার তেমনই মন্তব্য করল বম্বে হাই কোর্ট। পোর্শেকাণ্ডে অভিযুক্ত কিশোরের গ্রেফতারিকে ‘অবৈধ’ দাবি করে অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিযুক্তের কাকিমা। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি ছিল বম্বে হাই কোর্টে। শুনানি চলাকালীন বম্বে হাই কোর্ট জানিয়েছে, অভিযুক্ত কিশোর বিলাসবহুল গাড়ি দিয়ে দু’জনকে ধাক্কা মারার পর নিজেও আতঙ্কিত এবং তা হওয়াই স্বাভাবিক।
উল্লেখ্য, গত ১৭ মে পুণের রাস্তায় বিলাসবহুল পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় মারা যান দুই তরুণ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী। অভিযোগ, গাড়ির চালক অপ্রাপ্তবয়স্ক এবং ঘটনার সময়ে মত্ত ছিল। কিন্তু ঘটনার পর থেকেই নানা ভাবে এই কিশোরকে নির্দোষ প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লাগে তার পরিবার। প্রথমে এই পরিবারের চালক পুলিশের কাছে দাবি করেন যে, সে দিন কিশোর নয়, গাড়ি চালাচ্ছিল তিনি নিজে। তার পরে জানা যায় যে, দুর্ঘটনার পরে সংগ্রহ করা ওই কিশোরের রক্তের নমুনা সরকারি হাসপাতালেই পাল্টে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিশোরের মা। এর জন্য দুই চিকিৎসক ও এক চিকিৎসাকর্মীকে বিপুল ঘুষও দেয় কিশোরটির পরিবার।
ইতিমধ্যেই, চালককে ঘটনার দায় নিতে হুমকি দেওয়ার জন্য কিশোরের ঠাকুরদা সুরেন্দ্র আগরওয়ালকে, অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালাতে দেওয়ার জন্য তার বাবা বিশালকে এবং রক্তের নমুনা পাল্টানোর চেষ্টা করার জন্য তার মা শিবানীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ বার অভিযুক্ত কিশোরের মুক্তির দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ তার কাকিমা।