মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৮ জুলাই। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
রাষ্ট্রপতি ভোটের মাঝপথেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। ভোটে শাসক গোষ্ঠীর জয় অনায়াস হলেও, বিরোধীরা এখানেও টক্কর দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নসীম জৈদী জানিয়েছেন, ৫ অগস্ট উপরাষ্ট্রপতি পদের নির্বাচন হবে। ফলাফল জানা যাবে সে দিনই। উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন রাষ্ট্রপতি ভোটের মতো বিশাল নয়। শুধুমাত্র লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্যরাই ভোট দিতে পারেন। সংসদের দু’টি সভা মিলিয়ে বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। লোকসভা ও রাজ্যসভায় বিজেপি তথা এনডিএ-র শক্তি যথাক্রমে ৩৩৮ ও ৭৫ জন সাংসদের। সব মিলিয়ে সংখ্যাটা ৪১৩। যা দুই সভার মোট আসন ৭৭৬-এর অর্ধেক ৩৮৮-এর চেয়ে বেশি। ফলে নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে সমস্যা হবে না বলেই মনে করছেন বিজেপি নেতারা। উপরন্তু রাষ্ট্রপতি ভোটের মতো উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে নীতীশের মতো কিছু বন্ধু দলকে পাশে পেলে বিরোধীদের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন তাঁরা।
শাসক শিবিরের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে বিজেপি সূত্র বলছে, রাষ্ট্রপতির মতোই নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্যও প্রার্থী বেছে রেখেছেন। ঠিক সময়ে তাঁরা ফের চমক দেবেন। তবু আজ থেকেই বিজেপি শিবিরে সম্ভাব্য নাম নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। কংগ্রেস আপাতত জিএসটি বিরোধিতায় বেশি ব্যস্ত। রাষ্ট্রপতির মতো উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও টক্কর দেওয়া হবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গুলাম নবি আজাদ বলেন ‘‘ঠিক সময়েই আমরা সিদ্ধান্ত নেব।’’ দলের ইঙ্গিত, যে ভাবে সনিয়া গাঁধী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে আদর্শের লড়াই হিসেবে নিয়েছেন, সেই ভাবেই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হারজিত যাই হোক জমি ছাড়া হবে না। জুলাইয়ের গোড়াতেই বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবে কংগ্রেস।