ছবি: এএফপি।
পাকিস্তানে হিন্দুদের সুরক্ষার দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হচ্ছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
আজ দিল্লিতে ভিএইচপি-র বিদেশ বিভাগের নেতা প্রশান্ত হরতালকর সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, গত কয়েক দশকে পাকিস্তানে সংখ্যালঘুর সংখ্যা ১৬% থেকে নেমে ২-৩% ঠেকেছে। এর অধিকাংশ হিন্দু। প্রশান্তর দাবি, প্রায় ১০ লক্ষ হিন্দু পাকিস্তান থেকে ভারতে এসেছেন। কেন্দ্রের কাছে দাবি, আইন এনে যেমন এঁদের সাহায্য করতে হবে, তেমনই পাকিস্তানে বসবাসকারী হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক স্তরেও চাপ বাড়াতে হবে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিতে আগের মেয়াদেই একটি বিল লোকসভায় পাশ করায় মোদী সরকার। হিন্দুদের পাশাপাশি বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি, শিখ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষকে রাখা হয়েছিল সেই তালিকায়। কিন্তু বিলের বিরোধিতায় সরব হয় উত্তর-পূর্ব ভারতের দলগুলি। তাদের মতে, এই বিল পাশ হলে বাংলাদেশের হিন্দু জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ অসম-সহ উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতে আশ্রয় নেবে। বিরোধীদের আপত্তিতে বিলটি শেষ পর্যন্ত রাজ্যসভায় পাশ হয়নি।
ভিএইচপি নেতাদের অভিযোগ, কংগ্রেসের কপিল সিব্বলের মতো আইনজীবী নেতারা রোহিঙ্গাদের পক্ষে সওয়াল করেন। কিন্তু হিন্দুদের আশ্রয় দেওয়ার বিরোধিতা করে কংগ্রেস। পরিষদ জানায়, ‘‘কাল থেকেই সব দলের কাছে বিলটি পাশ করানোর দাবি জানানো হবে। অভিযান চলবে ১৪ অগস্ট পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করারও সময় চাওয়া হয়েছে।’’ তাদের দাবি, পাকিস্তান থেকে যে হিন্দুরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের দীর্ঘমেয়াদি ভিসা দেওয়া হোক। সরকারি প্রকল্পের সুবিধা যাতে তাঁরা পান, সেটও সুনিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রপুঞ্জে চাপ বাড়িয়ে পাকিস্তানে হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দাবিও তোলা হবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।