আমরা জঙ্গি! চটে লাল ভিএইচপি

সিআইএ-র তালিকায় নাম থাকা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ চটে লাল। সংগঠনের নেতা সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘এ তো ষড়যন্ত্র! দেশভক্ত সংগঠনের উপর এমন অভিযোগ! ঘোরতর অপমান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৮ ০৩:৫২
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্মদিন পালন। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে। —নিজস্ব চিত্র ।

সদ্য গত কালই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছবিকে কেক খাইয়ে তাঁর জন্মদিন পালন করেছে হিন্দু সেনা। আর আজ সকালে উঠে দেখা গেল, সেই ট্রাম্পের প্রশাসনই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দলের মতো হিন্দুত্ববাদী দলকে ‘ধার্মিক জঙ্গি সংগঠন’ বলে চিহ্নিত করেছে!

Advertisement

আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা ‘সিআইএ’ প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে একটি ‘ফ্যাক্টবুক’ প্রকাশ করে। সেখানেই জঙ্গি সংগঠন হিসেবে অন্য একাধিক সংগঠনের সঙ্গে জায়গা পেয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, বজরং দল। যা শুনে হিন্দু সেনার বিষ্ণু গুপ্ত বলেন, ‘‘দেখুন, আমরা ট্রাম্প-ভক্ত। এই রিপোর্টে ট্রাম্পের কোনও দোষ নেই। আমেরিকায় সরকার বদলেছে, কিন্তু অফিসাররা বদলাননি। তাঁদের নজরও বদলাননি। হিন্দুরা কখনও সন্ত্রাসবাদী হতে পারে না। গোটা পৃথিবীতে এর নজির নেই।’’ এখন কী করবেন আপনারা? বিষ্ণুর জবাব, ‘‘ট্রাম্পকে চিঠি লিখব। সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন।’’

সিআইএ-র তালিকায় নাম থাকা বিশ্ব হিন্দু পরিষদ চটে লাল। সংগঠনের নেতা সুরেন্দ্র জৈন বলেন, ‘‘এ তো ষড়যন্ত্র! দেশভক্ত সংগঠনের উপর এমন অভিযোগ! ঘোরতর অপমান। ভারতের ভুল মানচিত্র প্রকাশ থেকেই সিআইএ-র ভারত বিরোধী মানসিকতা স্পষ্ট। সংগঠনের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। ক্ষমাও চাইতে হবে। তা না হলে বিশ্বব্যাপী আন্দোলনে নামবে সংগঠন।’’

Advertisement

গেরুয়া সংগঠনগুলির মধ্যে নরেন্দ্র মোদীর উপর এমনিতেই ক্ষোভ বাড়ছে। তাদের মতে, গত লোকসভায় হিন্দুরা মোদীকে ভরপুর সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পরে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা করতে মোদী সরকার তেমন কোনও পদক্ষেপই করেননি। উল্টে বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দুদেরই তোপ দেগেছে। কেন্দ্রে মোদী ক্ষমতায় থাকতে কী ভাবে আমেরিকার গুপ্তচর সংস্থা এমন একটি রিপোর্ট পেশ করল সেই প্রশ্ন তুলে ওই সব সংগঠনের নেতাদের বক্তব্য, দেখতে গেলে এটা তো মোদীরও ব্যর্থতা!

বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি তুলেছে, মার্কিন প্রশাসনের উপর চাপ দিয়ে তালিকা সংশোধন করুক মোদী সরকার। জঙ্গি তালিকায় থাকা বজরং দল ক’দিন আগেই খবরটি পেয়েছিল। তখন থেকেই আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছে তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement