প্রতীকী ছবি।
ই-টিকিটের মাধ্যমে সুরেশ প্রভু রেলবিমার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু, সেই ঘোষণার তিন মাস পরেও বিমাতে যে খুব একটা আগ্রহী নন যাত্রীরা তা বোঝা গেল।
বিমা ঘোষণার পর প্রথম রেল দুর্ঘটনার চিত্র থেকেই তা স্পষ্ট। দেখা গিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইনদওর-পটনা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেসের ৬৯৫ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র ৭৮ জন এই বিমা করিয়েছিলেন। রেলের তরফে তাঁদের মধ্যে মৃতদের পরিবার পিছু ১০ লক্ষ, দুর্ঘটনায় স্থায়ীভাবে শারীরিক বিকলত্বের জন্য ৭.৫ লক্ষ, স্বল্প আহতদের জন্য ১০ হাজার, চিকিৎসার খরচ হিসাবে ২ লক্ষ টাকা এবং মালপত্র নষ্ট এবং হারিয়ে যাওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
গত সেপ্টেম্বরেই ন্যূনতম প্রিমিয়ামের বিনিময়ে যাত্রীদের জন্য বিমার ঘোষণা করেন রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। আইআরসিটিসি থেকে ই-টিকিট কাটলে তবেই একমাত্র এই বীমার সুবিধা পাবেন যাত্রীরা। যার জন্য প্রিমিয়াম দিতে হবে মাত্র ৯২ পয়সা। টিকিটের মূল্যের সঙ্গেই এই প্রিমিয়াম মূল্য কেটে নেওয়া হবে। যাত্রী তাঁর অবর্তমানে বীমার সুবিধার জন্য কাকে মনোনীত করতে চান তার জন্য ই-টিকিট টাকার সময় একটি ফর্মও পূরণ করতে হবে। রেলের যে কোনও ধরণের দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত যাত্রীরা বিমার সুবিধা পাবেন।
তবে রেল জানাচ্ছে, মানুষকে অনলাইনের সুবিধা দেওয়ার জন্য ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’-র এই পদক্ষেপে এখনও খুব কম বেশি সাড়া পাওয়া যায়নি। যাত্রীদের বেশির ভাগ অংশই এখনও কাউন্টারে লাইন দিয়ে টিকিট কাটেন। এমনকী এঁদের মধ্যে এমন অনেকেও রয়েছেন, যাঁরা ইন্টারনেটের ভীষণভাবে সরগর হওয়া সত্ত্বেও ই-টিকিটের সুবিধা নিতে চান না। ইনদওর-পটনা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেসের ছবিটা দেখলেই তা বোঝা যায়। রেল জানিয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ইনদওর-পটনা রাজেন্দ্রনগর এক্সপ্রেসের ৬৯৫ জন যাত্রীর মধ্যে মাত্র ১২৮ জন যাত্রী ই-টিকিট কেটেছিলেন। যার মধ্যে দুর্ঘটনার সময় ওই ১২৮ জনের মধ্যে ৭৮ জন ট্রেনে উপস্থিত ছিলেন। অন্য স্টেশন থেকে বাকি যাত্রীদের ট্রেনে ওঠার কথা ছিল। যার আগেই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়। তাই মাত্র ৭৮ জন যাত্রীই এই বিমার সুবিধা পাবেন।