সুড়ঙ্গের উপরিভাগ দিয়ে খোঁড়ার কাজে আনা হয়েছে যন্ত্র। ছবি: পিটিআই।
সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে খননকাজ থমকে যাওয়ায় এ বার উপরিভাগ দিয়ে খননের কাজ শুরু হল উত্তরকাশীতে। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টে থেকে উদ্ধারকারীরা এই কাজ শুরু করে দিয়েছেন বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। তবে এ ক্ষেত্রেও চ্যালেঞ্জ এবং ঝুঁকি যে অনেক বেশি, সেটি মেনে নিয়েছেন উদ্ধারকারীদের অনেকেই।
সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে অগার যন্ত্রের মাধ্যমে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৪৮ মিটার পর্যন্ত এগোনো গিয়েছিল। কিন্তু তার পরই ওই খনন যন্ত্রের ব্লেডগুলি লোহার জালে জড়িয়ে যায়। ফলে শুক্রবার থেকে সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে খননকাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সেই ব্লেড কেটে বার করার প্রক্রিয়া চলছে। রবিবারের মধ্যেই এই প্রক্রিয়া শেষ হবে বলে আশা করছেন উদ্ধারকারীরা।
সুড়ঙ্গের উপরিভাগ থেকে খনন করে ৯০ মিটার ভিতরে যেতে হবে। এই খননকাজের সঙ্গে সঙ্গে ২০০ মিলিমিটার পাইপ ওই গর্তের মধ্যে দিয়ে ঢোকানো হচ্ছে। উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, ১৫.২৪ মিটার পর্যন্ত খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। উদ্ধারকারীদের মধ্যে একটি দল রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) জানিয়েছে, উপরিভাগ দিয়ে খনন শুরু হওয়ার পর থেকে কোনও বড় ধরনের সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। ২০০ মিলিমিটার পাইপ ঢোকানোর পাশাপাশি, নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই পাইপের উপর দিয়ে ৮০০ মিমির চওড়া পাইপ ভিতরে ঢোকানো হবে।
উদ্ধারকারীরা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গের উপরিভাগ দিয়ে খননের জন্য যে যন্ত্র নিয়ে আসা হয়েছে, তা গভীর সমুদ্রে খননকাজে ব্যবহার হয়। খননকাজের গতি নির্ভর করবে সুড়ঙ্গের উপরিভাগের জমি কতটা শক্ত তার উপর। যত শক্ত হবে, খননকাজের গতি তত মন্থর হবে। সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে উদ্ধারকাজ থমকে যাওয়ায় এখন উপরিভাগ দিয়ে উদ্ধারের উপরই ভরসা করছেন উদ্ধারকারীরা।
অন্য দিকে, অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কমিশন (ওএনজিসি) জানিয়েছে, সুড়ঙ্গের ভিতর দিয়ে খননকাজে সাহায্য করতে বিকল্প পরিকল্পনাও করা হয়েছে। বিজয়ওয়াড়া থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে ম্যাগনাকাটার যন্ত্র। ৪ হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপ সৃষ্টি করতে পারে এই কাটারযন্ত্র। সুড়ঙ্গের ভিতরে অগার যন্ত্রের বিকল অংশকে কেটে বার করার জন্য বর্তমানে লেজ়ারকাটার যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ম্যাগনাকাটার যন্ত্রও ব্যবহার করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ওএনজিসি।