তিন তালাক: তরজা মেহবুবা-ওমরের

রাজ্যসভায় বিল পাশ হওয়ার পরেই মেহবুবা টুইট করেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করেছে। ফলে তিন তালাক বিল পাশ করানোর প্রয়োজনীয়তা কী ছিল, সেটা বুঝলাম না।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শ্রীনগর শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০১৯ ০৩:১৭
Share:

রাজ্যসভায় তাৎক্ষণিক তিন তালাক বিল পাশ করানো নিয়ে তরজায় জড়ালেন জম্মু-কাশ্মীরের দুই নেতা-নেত্রী ওমর আবদুল্লা ও মেহবুবা মুফতি।

Advertisement

রাজ্যসভায় বিল পাশ হওয়ার পরেই মেহবুবা টুইট করেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্ট ইতিমধ্যেই তাৎক্ষণিক তিন তালাককে অবৈধ ঘোষণা করেছে। ফলে তিন তালাক বিল পাশ করানোর প্রয়োজনীয়তা কী ছিল, সেটা বুঝলাম না। মনে হয়, মুসলিমদের শাস্তি দিতে এটা অযথা হস্তক্ষেপ। আজ দেশের যা পরিস্থিতি, তাতে এই বিলকে কি সত্যিই গুরুত্বের তালিকায় রাখা প্রয়োজন ছিল?’’

এর পরেই পিডিপি নেত্রীকে আক্রমণ করে টুইট করেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। তিনি লিখেছেন, ‘‘মেহবুবা মুফতিজি, টুইট করার আগে আপনার দেখা উচিত ছিল, এই বিল নিয়ে ভোটাভুটির সময়ে আপনার দলের দু’জন সাংসদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল? মনে হয় তাঁরা ভোটদানে
বিরত ছিলেন। যা জেতার মতো সংখ্যা জোগাড় করতে সরকারকে সাহায্য করেছে। এক দিকে সরকারকে
সাহায্য করছেন, আবার বলছেন, বুঝতে পারছি না বিল আনার প্রয়োজনীয়তা কোথায়?’’

Advertisement

জবাব দিয়েছেন মেহবুবাও। ওমরকে নিশানা করে তাঁর মন্তব্য, ‘‘বড়-বড় নীতিকথা ছাড়ুন। ১৯৯৯ সালে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য আপনার দলই সইফুদ্দিন সোজকে বহিষ্কার করেছিল।’’ মেহবুবার যুক্তি, ভোটদানে বিরত থাকার অর্থ কাউকে
ভোট না-দেওয়া। ওমর ২০ বছর আগের একটি ঘটনা তুলে ধরে পাল্টা বলেন, ভোটদানে বিরত থাকা আর কাউকে ভোট না-দেওয়া— দু’টো বিষয় পুরোপুরি আলাদা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement