Veerappa Moily

Veerappa Moily: প্রশান্তকে কংগ্রেসে আনার পক্ষে মইলি

গত বছর গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলের মতো ২৩ জন নেতা সনিয়াকে চিঠি লিখে দলের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসে যোগ দিলে দল যথেষ্ট লাভবান হবে বলে সওয়াল করলেন এম বীরাপ্পা মইলি। কংগ্রেসের যে ২৩ জন নেতা সক্রিয় নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক সংস্কারের দাবি করে সনিয়া গাঁধীকে চিঠি লিখেছিলেন, মইলি সেই জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম সদস্য। কিন্তু আজ মইলি এই জি-২৩ গোষ্ঠীকে পাকাপাকি চেহারা দেওয়ার প্রয়াসের সমালোচনা করেছেন। একই সঙ্গে ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেছেন। এই প্রথম কংগ্রেসের কোনও প্রবীণ নেতা প্রকাশ্যে কিশোরের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে মুখ খুললেন।

Advertisement

রাহুল, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক ও সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে কথাবার্তার পরে সনিয়া নিজেই কিশোরের বিষয়ে প্রবীণ নেতাদের মতামত নিতে শুরু করেছেন। অনেকেই কিশোরকে দলে এনে প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়ার পক্ষে। কিন্তু প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কর্ণাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মইলির মতে, যাঁরা এর বিরোধিতা করছেন তাঁরা সংস্কারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের জন্য বাইরে থেকে কাজ করার বদলে কিশোর ভিতরে এসে কাজ করলেই দল বেশি লাভবান হবে। মইলি বলেন, ‘‘সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে দু’মাসের মধ্যে সংগঠনকে মজবুত করতে হলে যথেষ্ট ইচ্ছাশক্তি দরকার। প্রশান্ত কিশোরের পরিকল্পনায় দলে নতুন উদ্যম আসতে পারে।’’

গত বছর গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলের মতো ২৩ জন নেতা সনিয়াকে চিঠি লিখে দলের কাজকর্ম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। মইলিও সেই চিঠিতে সই করেছিলেন। সাংগঠনিক নির্বাচন, শীর্ষ নেতৃত্বের সক্রিয়তা দাবি করেন তাঁরা। সভাপতি না হয়েও রাহুল গাঁধী প্রবীণ নেতাদের অন্ধকারে রেখে নিজের মতো দল চালাচ্ছেন বলেও কংগ্রেসের এই নেতাদের ক্ষোভ ছিল। তার পরে সনিয়া সংগঠনে একাধিক রদবদল করেছেন। বিক্ষুব্ধ নেতাদেরও বিভিন্ন কমিটিতে নেওয়া হয়েছে, দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। জাতিগণনার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সনিয়া একটি কমিটি গঠন করেছেন। মইলিকে সেই কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কিন্তু এর পরেই জি-২৩-র সদস্যরা আলাদা ভাবে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। আজ মইলি এর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘‘সংগঠনে সংস্কারের জন্য চিঠি লেখা হয়েছিল। সংগঠন ভাঙার জন্য নয়।’’ মইলি বলেন, ‘‘কিছু নেতা এই জি-২৩ গোষ্ঠীর অপব্যবহার করছেন। চিঠি লেখার পরেই সনিয়াজি সংগঠনে সংস্কারের ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন। ওঁরা যদি এ ভাবে গোষ্ঠীবাজি চালিয়ে যান, তা হলে বুঝতে হবে কয়েক জনের কায়েমি স্বার্থ রয়েছে। তাঁরা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কাজ করতে চান। আমি এর বিরোধিতা করছি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement