শুধু বিরোধী পক্ষ নয়, একাধিক বিজেপি বিধায়কও মুখ খুলেছেন বসুন্ধরা সরকারের অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে। —ফাইল চিত্র।
হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ল রাজস্থান সরকারের মহাবিতর্কিত অর্ডিন্যান্স। মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলেও সরকারের অনুমতি ছাড়া তদন্ত করা যাবে না— সম্প্রতি এমনই অর্ডিন্যান্স জারি করেছে মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের সরকার। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়া সত্ত্বেও এই অর্ডিন্যান্সকেই আইনে পরিণত করতে তা বিধানসভায় পেশ করা হয়েছে। তবে বসুন্ধরার পথ খুব মসৃণ আর রইল না। মামলা গড়িয়ে গেল হাইকোর্টে। দুই বিজেপি বিধায়কও প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বসুন্ধরা রাজের বিরুদ্ধে।
এক আইনজীবীই রাজস্থান হাইকোর্টে মামলা করেছেন বসুন্ধরা রাজের জারি করা অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে। সরকারি নির্দেশকে ‘স্বৈরাচারী’ আখ্যা দিয়েছেন তিনি। ‘সমাজের একটি খুব বড় অংশকে অপরাধ করার ছাড়পত্র দিয়ে দেওয়া হচ্ছে’ এই অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে— আদালতকে জানিয়েছেন মামলাকারী।
বসুন্ধরা সরকারের এই অর্ডিন্যান্সকে ঘিরে রাজস্থানের শাসক দল বিজেপি-তেও কিন্তু বিভাজন স্পষ্ট। অনেক বিজেপি বিধায়কই মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ। নরপত সিংহ রাজভি এবং ঘনশ্যাম তিওয়ারি নামে দুই বিজেপি বিধায়ক প্রকাশ্যেই সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। ‘‘এটা দলের নীতির বিরুদ্ধে। আমরা জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে লড়াই করেছিলাম, বিজেপি সরকার যাতে এই রকম আইন আনতে পারে, তার জন্য আমরা সে লড়াই করিনি।’’ মন্তব্য তিওয়ারির।
আরও পড়ুন: অধ্যাদেশ নিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীকে তির রাহুলের
২০০ আসনের রাজস্থান বিধানসভায় ১৬২টি আসনই বিজেপির। বিধানসভায় বিল পাশ করিয়ে অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করতে কোনও সমস্যা হবে না বসুন্ধরা রাজের। কিন্তু দলের মধ্যে থেকেই যে ভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা শুরু হয়েছে, তা বসুন্ধরার অস্বস্তি বাড়াতে বাধ্য।
আরও পড়ুন: ১ কোটি ঘুষ দিতে চেয়েছিল বিজেপি: পটেল নেতা
গত মাসেই এই অর্ডিন্যান্স জারি করেছিল বসুন্ধরা রাজের সরকার। কোনও মন্ত্রী, বিধায়ক, সরকারি কর্তা বা বিচারকের বিরুদ্ধে যে কেউ অভিযোগ করলেই, সেই অভিযোগ আদালত গ্রহণ করতে পারবে না। সরকার অনুমতি দিলে তবেই অভিযোগ গ্রহণ করা যাবে। কোনও অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তের নির্দেশ দিতে হলেও আদালতকে সরকারের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এমনই অর্ডিন্যান্স এনেছেন বসুন্ধরা। এই অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করার চেষ্টা শুরু হতেই বিরোধিতায় পথে নেমেছে কংগ্রেসও।